চীনে নভেল করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৮৯ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১১ জনে। এর মধ্য দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে প্রাণঘাতী সাসর্কেও ছাড়িয়ে গেল করোনাভাইরাস। আর একদিনে ২ হাজার ৬শ সহ আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার বলে জানিয়েছে চীনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ যেন মৃত্যুর মিছিলে আলোর অপেরা। করোনা আক্রান্ত দেশটির বিভিন্ন বড় শহরে শনিবার রাতের আকাশে দেখা যায় অদ্ভূত দৃশ্য। সুউচ্চ ভবনগুলো উজ্জল হয়ে রঙ্গিন আলোর ঝলকানিতে। করোনার উৎপত্তিস্থল উহানের সমর্থনে এই আলোকসজ্জা। সবার কণ্ঠেই এক সুর, শক্ত থাকো উহান।
প্রতিবছরই চান্দ্রবর্ষ শুরুর দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত লন্ঠন উৎসব করে চীনের নাগরিকেরা। এবার করোনার আঘাতে সেই উৎসেবর জাঁকজমক না থাকলেও, হাসপাতালেই আক্রান্তদের সাহস আর শক্তি যোগাতে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিতে দেখা যায় চিকিৎসকদের।
চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার শুধু হুবেই প্রদেশেই মারা যান ৮১ জন। আর এখন পর্যন্ত ৮শো ছাড়িয়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যা। যার মধ্য দিয়ে ভয়াবহতার দিক দিয়ে সার্সকেও অতিক্রম করলো করোনা। ২০০৩ সালে সার্স সংক্রমণে চীনে মারা গিয়েছিল মোট ৭৭৪ জন। করোনারভাইরাসের মতো সার্স আক্রান্ত মানুষের মধ্যেও শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা যায়।
এ অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানালো, চলতি সপ্তাহেই করোনা মোকাবেলায় চীনকে সহায়তা দিতে হুবেই যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ দল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক টেডরস আধানম বলেন, আমাদের বিশেষ দল চীন যাচ্ছে। আশা করি তারা কার্যকরী সহায়তা দিতে পারবে। হুবেইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা করছে। তবে পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। যেকোন সময় সংক্রমেণর হার বেড়ে যেতে পারে। কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তাও বলা যাচ্ছে না।
এদিকে চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার অন্তত ৬০০ নাগরিক সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে। এ নিয়ে ২৬ শ মানুষ করোনা মুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছাড়লো।