• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

বিদেশ

গির্জায় আগুন দেওয়া রুখে দিয়েছে মুসলমানরা!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ ডিসেম্বর ২০২০

খ্রিস্টানদের একটি গির্জায় আগুন দেয়া রুখে দিয়েছে স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলের দখলকৃত জেরুজালেমের ‘জাবাল জেইতুন’ অঞ্চলে খ্রিস্টানদের একটি গির্জায় আগুন দেওয়ার সময় স্থানীয় মুসলিম ও খ্রিস্টান কমিউনিটির হাতে আটক হয় এক উগ্রপন্থি ইহুদি।

ফিলিস্তিনভিত্তিক নিউজ এজেন্সি আল শাহাবসহ অনেক গণমাধ্যম এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার জাবাল জেইতুন সংলগ্ন আল-জাসমানি গির্জায় স্থানীয় উপশহরবাসী এক ইহুদি গির্জার ভেতরে ঢুকে পেট্রোল ঢেলে বিভিন্ন আসবাবপত্রে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। স্থানীয় মুসলিমরা বিষয়টি টের পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন এবং তাকে সেখানেই আটক করেন। আর তাতে আগুনে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায় আল-জাসমানিয়া গির্জাটি। ইহুদি ওই ব্যক্তিকে আটক করার পর সেখানে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় দখলদার ইসরাইলি সেনারা গির্জায় ঢুকে ওই ইহুদিকে ছাড়িয়ে নেয়। সে সময় ওই ইহুদির নাম পরিচয় জানাও সম্ভব হয়নি। গির্জায় অগ্নিসংযোগের এ ঘটনায় বিশপ উইলিয়ামস শোমালি তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, একজন উগ্র ইহুদির দ্বারা খ্রিস্টানদের একান্ত প্রিয় গির্জায় আগুন দেয়ার ঘটনা তাদের হূদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে। এটি একটি ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। যারা মানুষ এবং ধর্মের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও পুনর্মিলনের কাজ করে এটি তাদের জন্য ক্ষতিকারক। ফিলিস্তিনের গির্জা বিষয়ক উচ্চতর কমিটির সভাপতি রামজি খুরি বলেছেন, ‘উগ্র ইহুদি কর্তৃক গির্জায় এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ও হামলা পবিত্র শহর জেরুজালেমের চরিত্র পরিবর্তনের একাধিক পদক্ষেপের একটি অংশ।

তিনি আরো বলেন, মসজিদে আকসাসহ এসব গির্জায় হামলা, আক্রমণ ও উপাসনাকারীদের হয়রানির ঘটনা দখলদার ইসরাইলের ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রচেষ্টা বা চক্রান্ত।

উল্লেখ্য, ইসরাইল দখলকৃত ফিলিস্তিনের অঞ্চলগুলোতে এর আগেও বহুবার ইহুদিরা মুসলমান ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এসব ধর্মীয় উপাসনালয়। এভাবেই মুসলমান ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ধ্বংসের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads