• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

বিলিয়নিয়ারদের বিলাসিতায় বাড়ছে কার্বন নিঃসরণ, সংকটে বিশ্ব

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৬ জুলাই ২০২১

একটি রকেট উড্ডয়নে প্রায় ৩০০ টন কার্বন নিঃসরণ হয়। অন্যদিকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট উড্ডয়নে নিঃসরণ হয় ৩ টন কার্বন। মাথাপিছু হিসেবের দিকে তাকালে শখের বসে ৫/৬ জনের মহাকাশে যাওয়া এবং পৃথিবীতে ফেলে যাওয়া ৩০০ টন কার্বনের বোঝা পৃথিবী আর কতদিন বইতে পারবে সেটিই এখন প্রশ্ন। একদিকে পুরো পৃথিবী যখন জলবায়ু সংকটে ভুগছে অন্যদিকে পশ্চিমা বিলিয়নিয়ার ব্যক্তিরা মেতেছে মহাকাশ পাড়ি দিয়ে কিংবদন্তি হওয়ার খেলায়। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বরফ গলছে অ্যান্টার্কটিকায়, বন্যায় ভাসছে ইউরোপ, পুড়ছে লাতিন আমেরিকা আর ডুবে যাওয়ার শঙ্কায় আছে দক্ষিণ এশিয়া। এসব থেকে মুক্তি পেতে বছরান্তে করা হচ্ছে ধরিত্রী সম্মেলন। আলোচনার পর আলোচনা হচ্ছে। গ্রিন এনার্জি নিয়ে বিকল্প পথের অনুসন্ধান চলছে। আর ঠিক ওই সময়ে একদল বিলিনয়র মেতেছে তাদের শখের খেলায়। সমপ্রতি জেফ বেজোসের মহাকাশ যাত্রা নিয়ে পরিবেশবাদীদের মুখে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এতদিন গ্যাগরিনের মহাকাশযাত্রা কিংবা বাজ আলড্রিনের চন্দ্রভিযান গবেষণার উদ্দেশ্যে হলেও এখন নতুন ট্রেন্ডে সুখভ্রমনে মহাকাশে পাড়ি জমাচ্ছেন বিলিনিয়রা। প্রথমবারের মতো যখন শখের বসে স্যার রিচার্ড ব্রানসন তার ভার্জিন গ্যালাকটিক ক্রাফটে করে ঘুরে আসলেন মহাকাশ থেকে, তার কিছুদিন পরেই অহংবোধ থেকেই হোক আর আগ্রহ থেকেই হোক জেফ বেজোস কয়েকশ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড খরচ করে তার নিজস্ব ব্লু অর্জিন ভেনচারে করে মহাকাশ ভ্রমণ করে চলে এলেন কেন্দ্রবিন্দুতে।বেজোসের এই ভ্রমণের পরপরই গুজব শোনা যাচ্ছে এলন মাক্সকে নিয়ে। যেখানে এলন মাক্সকের স্পেসএক্সের কাজই হচ্ছে মহাকাশ নিয়ে সেখানে তারও এই শৌখিন কিংবদন্তির তালিকায় নাম উঠানো সময়ের ব্যাপার মাত্র।যদিও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে বেজোস বলছেন, আমাজনের সব ভারী শিল্প-কারখানাগুলোকে মহাকাশে প্রতিস্থাপন করা হবে, কিন্তু আপাতত এটিকে ‘স্বপ্ন’ই বলা চলে। অন্যদিকে মাক্স স্বপ্ন দেখাচ্ছেন পৃথিবীর বাইরে গড়ে উঠবে মানবসভ্যতা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এটিকেও আপাতত অসম্ভব কিংবা সুদূর ভবিষ্যতের পরিকল্পনা হিসেবে দেখছে। উল্লেখ্য, গত বছর বেজোসের আমাজনের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ছিল আগের বছরের থেকে ১৯ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ব্রানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিকের কার্বন নিঃসরণও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বিদ্যমান রয়েছে। যদিও এলন মাক্সের ইলেকট্রিক গাড়ি টেসলা একটি বিপ্লব ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো এর সুবিধা পাচ্ছে না বললেই চলে।যদিও বিলিনয়রদের দেখানো স্বপ্নগুলো সুদূর পরাহত এবং অনেকটাই অনিশ্চিত কিন্তু জলবায়ুর বিরূপ প্রকোপ থেকে বাচতে পৃথিবীর দরকার আশু সমাধান। সেখানে সমাধানতো দূরে থাক, বিলিনয়রদের হাতে কার্বন নিঃসরণের নতুন নতুন পন্থা আরও বেশি করে সমস্যার সৃষ্টি করছে বলে মনে করছে পরিবেশবিদরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads