• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
জলবায়ু পরিবর্তনে শুধু কার্বন নয় নাইট্রোজেনও দায়ী

প্রতীকী ছবি

বিদেশ

জলবায়ু পরিবর্তনে শুধু কার্বন নয় নাইট্রোজেনও দায়ী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০২১

গোটা বিশ্ব যখন আকস্মিক বন্যা, দাবানল এবং উত্তপ্ত আবহাওয়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করছে, তখন ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক রিপোর্ট প্রকাশ করে সম্প্রতি। ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২১ টাইটেল সংবলিত ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট (এআর-৬) গত সোমবার প্রকাশ করা হয়, যেখানে সংগঠনটি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তুলে ধরে। ২০১৪ সালে এআর-৫ প্রকাশিত হওয়ার ৭ বছর পর এটি প্রকাশ করা হলো।

রিপোর্টে আবহাওয়া, সমুদ্র আর মাটির সার্বিক পরিবর্তনের জন্য মানুষকেই দায়ী করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া, বন্যা এবং ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ের জন্য মানুষের উদাসীন কার্যক্রমকেই দুষছেন গবেষকরা। আর তাই এখনই বিশ্ববাসীকে সচতেন হওয়ার তাগিদ দেন সংগঠনটির সদস্যরা।

সংগঠনটির হয়ে শতাধিক বিজ্ঞানী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন মানুষের সচেতনতা তৈরির জন্য। তবে ১৯৮৮ সালে আইপিসিসি গঠন করা হয় মূলত পলিসি মেকারদের জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের বিষয়টি নজরে আনার জন্য। জলবায়ু পরিবর্তন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ এবং মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো উঠে আসে তাদের রিপোর্টে। ইন্টারন্যাশনাল নাইট্রোজেন ইনিশিয়েটিভের চেয়ার অধ্যাপক এন. রঘুরাম এবং বায়োটেকনোলজিস্ট গুরু গোবিন্দ সিং বলেন, কয়েক বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কার্বন ডাই-অক্সাইডের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমানোই হচ্ছে তাদের মূল লক্ষ্য। তারা বলছেন, কার্বনকেন্দ্রিক আলোচনা গত তিন দশক ধরে চলছে। ফলে অধিকাংশ পলিসি মেকার, এমনকি অনেক বিজ্ঞানীও ভাবতে শুরু করেন যে শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইড বা কার্বন জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। অনেক সময় মিথেনকেও দায়ী করা হয়। তবে কার্বনকেন্দ্রিক আলোচনায় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, বিশ্বের কতজন মানুষ জানেন যে, নাইট্রোজেন সার একটি বড় উৎস নাইট্রাস অক্সাইড তৈরির জন্য এবং যেটি ২৬৫ বার সতর্কতার সংকেত দেয় যা কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়েও ভয়ংকর। তারা আরও বলেন, শুধু কার্বন নির্গমন বা বড়জোর মিথেনের ভূমিকার উল্লেখ করা হয় জলবায়ু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনায়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও ইকোসিস্টেমের জন্য নাইট্রোজেনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে মানুষের যে ভূমিকা রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ভূমিকা রয়েছে নাইট্রোজেনের প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে। গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে বিরূপ প্রভাব এবং কার্বন দায়ী সেটা যেমন ঠিক, তেমনি অন্যান্য গ্যাস নিয়েও আলোচনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলছেন তারা। বিশেষ করে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড শুধু পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে না, প্রভাব ফেলছে ওজোনস্তর আর গ্রিনহাউস গ্যাসের ক্ষেত্রেও। এসব নিয়ন্ত্রণে শুধু এক ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে তা নয় বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখাও সম্ভব। দ্য ইন্টারন্যাশনাল নাইট্রোজেন ইনিশিয়েটিভ গত দুই দশক ধরে এই ইস্যুটি নিয়ে কাজ করছে। এখন সময় এসেছে আইপিসিসি-র সঙ্গে তাদের একত্র হয়ে কাজ করার কার্বনের পাশাপাশি নাইট্রোজেনের ভূমিকা নিয়েও।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads