• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯

মানববন্ধন করেছেন সচেতন শিক্ষকবৃন্দ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলন

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ সেল গঠনের দাবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ এপ্রিল ২০১৮

কোনো গোষ্ঠী দ্বারা শিক্ষার্থীরা যেন আক্রান্ত না হন, সেজন্য বিশেষ সেল গঠনের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন সচেতন শিক্ষকবৃন্দ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে রোববার সকালে সচেতন শিক্ষকবৃন্দ ‘ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা মর্যাদা রক্ষা কর’ শীর্ষক এই মানববন্ধন করেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৮ এপ্রিল যে শিক্ষকেরা উপাচার্যের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন, তারাই এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন পরবর্তী সময়ে কিছু হয়রানির প্রেক্ষিতে এ মানববন্ধন থেকে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো বিধিসম্মত সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ব্যতীত অন্য কোনোভাবে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, আন্দোলন চলাকালে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোর সঙ্গে যারা সুনির্দিষ্টভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের অধিকারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো মূল্যবোধ এটা পারমিট করে না যে রাত একটা-দুইটার সময়ে মেয়েদের হল থেকে বের করে দিতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশের যে স্বাভাবিক মূল্যবোধ, সেই মূল্যবোধ লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রশাসনে আমরা যাদের মনোনীত করেছি, তারা সেই মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, সুফিয়া কামাল হলে যে ঘটনা ঘটেছে, তার সঠিকভাবে তদন্ত করা যেত। ওই রাতটা অপেক্ষা করে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে ভুয়া স্ট্যাটাস যারা ছড়িয়েছে, তাদের বের করা যেত। হলগুলোতে সামন্ত প্রভুত্ব কায়েম করা হয়েছে। হল প্রশাসন দল না শিক্ষার্থীদের স্বার্থ দেখবে, সে বিষয়ে দোদুল্যমান থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরাও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব পুনরুদ্ধারে এম এম আকাশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ডাকসু নির্বাচন এবং হলগুলোতে দলনিরপেক্ষ দায়িত্বশীল প্রশাসক নিয়োগ দাবি করেন।

সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ এ মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে এই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারী নির্যাতিত হলো এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়।’ তিনি শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক নারী নির্যাতন যেন দ্বিতীয়বার আর না হয়।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ন্যায্যতার প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড় দেয়নি, দেবে না। সচেতন শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছেন জানিয়ে তাদের বুক ফুলিয়ে চলা জন্য বলেন। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন আসিফ নজরুল, ফাহমিদুল হক, তাসনীম সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads