• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ভোটে নারী প্রার্থী কমার নেপথ্যে পেশিশক্তি

শিরীন শারমিন চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শিরীন আক্তার, সেলিমা আহমাদ, শামা ওবায়েদ, আফরোজা আব্বাস

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাংলাদেশ

ভোটে নারী প্রার্থী কমার নেপথ্যে পেশিশক্তি

  • মো. আসিফ উল আলম সোহান
  • প্রকাশিত ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯, আর নারী ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১। ভোটারদের মধ্যে পুরুষ ও নারীর আনুপাতিক হারের খুব বেশি তফাৎ না থাকলেও এবারের নির্বাচনে নারী প্রার্থী সংখ্যা অনেক কম।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ৯৯ জন ও দলীয় ১৭৪৯ জনকে নিয়ে তিনশ আসনে এবার মোট প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা ১৮৪৮ জন। কিন্তু এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১১৮ জন নারী মনোনয়ন পেলেও চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ জন।  অর্থাৎ প্রার্থীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩.৬৮ শতাংশ। ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বিধিমালা প্রণয়নের সময় ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের শর্ত দিয়েছিল। তবে গত এক দশকেও কোনো দল তার ধারেকাছে পৌঁছাতে পারেনি। দুই বছর জরুরি অবস্থার সময় বাদ দিলে গত দুই যুগের বেশি সময় দেশে বাংলাদেশের সরকার ও সংসদে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারীরা। গত দুটি সংসদে স্পিকারের দায়িত্বেও আছেন একজন নারী। কিন্তু আইনসভায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে খুব ধীরগতিতে। অর্থাৎ সামগ্রিক রাজনৈতিক চর্চায় নারীর অংশগ্রহণ আশানুরূপ বাড়েনি।

কারা আছেন ভোটের লড়াইয়ে?

একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ৬৮ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন; এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে ‘নৌকা’ প্রতীকে ২০ জন, বিএনপির হয়ে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ১৪ জন, জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ নিয়ে ৫ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৬ জন ভোট করছেন।

এছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ৪ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) ৩ জন, জাকের পার্টির ৩ জন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২ জন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএলের ২ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির ২ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন ভোটের মাঠে।

এ ছাড়া জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, গণফ্রন্ট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির একজন করে নারী প্রার্থী নির্বাচন করছেন।

আওয়ামী লীগ জোটের নারী প্রার্থীরা

গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা, রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, ফরিদপুর-২ সাজেদা চৌধুরী, চাঁদপুর-৩ দীপু মনি, ঢাকা-১৮ সাহারা খাতুন, গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, মুন্সীগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, খুলনা-৩ বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, গাইবান্ধা-২ মাহবুব আরা বেগম (গিনি), কুমিল্লা-২ সেলিমা আহমাদ, ফেনী-১ শিরীন আখতার (জাসদ-ইনু), নোয়াখালী-৬ আয়েশা ফেরদাউস, কক্সবাজার-৪ শাহীন আক্তার চৌধুরী, যশোর-৬ ইসমাত আরা সাদেক, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার, সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্তা এবং নেত্রকোনা-৪ আসনে রেবেকা মমিন।

এদের মধ্যে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সেলিমা আহমাদ ও শাহিন আক্তার। বাকিরা আগেও সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শাহিন আক্তার আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী। সেলিমা আহমাদ বাংলাদেশ উইমেন চেম্বারের বর্তমান সভাপতি।

বিএনপি জোটের নারী প্রার্থীরা

প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় এবার নির্বাচন করতে পারছেন না খালেদা জিয়া। তাকে ছাড়াই ২০০৮ সালের নির্বাচনের মতো এবারো ১৩ জন নারীকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। তবে সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর (লুনা) এবং মানিকগঞ্জ-৩ আসনের আফরোজা খান রিতার প্রার্থিতা হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে। তাই এবার বিএনপি জোটের মোট প্রার্থী থাকছেন ১১ জন। এর মধ্যে বিএনপির পক্ষে এবার প্রার্থী হচ্ছেন কক্সবাজার-১ হাসিনা আহমেদ, ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ, সিরাজগঞ্জ-১ রুমানা মোর্শেদ (কনক চাঁপা), ঢাকা-১১ শামীম আরা বেগম, রংপুর-৩ রিটা রহমান, নেত্রকোনা-৪ তাহমিনা জামান, ঝালকাঠি-২ জিবা আমিন খান, নাটোর-২ সাবিনা ইয়াসমিন, শেরপুর-১ সানসিলা জেবরিন, সিরাজগঞ্জ-২ রুমানা মাহমুদ, বগুড়া-৩ মাছুদা মোমিন ও ঢাকা-৯ আসনে আফরোজা আব্বাস।

তাহমিনা জামান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী। হাসিনা আহমেদ স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী। শামীম আরা ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা এমএ কাইয়ুমের স্ত্রী। সাবিনা ইয়াসমিন বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর স্ত্রী। রোমানা মাহমুদ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদের স্ত্রী। আফরোজা আব্বাস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী। মাছুদা মোমিন দলের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মোমিনের স্ত্রী। রিটা রহমান প্রয়াত রাজনীতিক মসিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে এবং সানসিলা জেবরিন শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীর মেয়ে। শামা ওবায়েদ বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব কেএম ওবায়েদুর রহমানের মেয়ে।

এর বাইরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী।

নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বড় অর্জন করতে পেরেছি : শিরীন শারমিন চৌধুরী

সবচেয়ে বড় যে অর্জনটা আমরা করতে পেরেছি নারী ক্ষমতায়নে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আমলে সংসদ পেয়েছে প্রথম নারী স্পিকার।  প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এটা করেছেন, যা বাংলাদেশের একটা অনন্য উদাহরণ। আর সার্বিকভাবে বলতে গেলে ব্যাপক কার্যক্রম হয়েছে। আর আমাদের এই দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনে মেয়াদ ২৫ বছর পর্যন্ত  বাড়ানো হয়েছে এবং আসন সংখ্যাও ৫০টিতে উন্নীত করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানের বড় দিক হচ্ছে, দুভাবেই নারীরা সংসদে আসতে পারেন। সরাসরি নির্বাচন করেও আসতে পারেন আবার সংরক্ষিত আসনেও আসতে পারেন। এই ব্যবস্থা বাংলাদেশে একটা অনন্য ব্যবস্থা।

ভবিষ্যতে নারীর অংশগ্রহণ আরো বাড়বে : মতিয়া চৌধুরী

নারীদের ক্ষমতায়ন ও অংশগ্রহণকে একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারই সঠিকভাবে মূূল্যায়ন করেছে, সকল সময় সকল ক্ষেত্রে। শুধু সংসদে নয় সর্বক্ষেত্রেই এটা আপনারা দেখতে পাবেন। ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরো বাড়বে ইনশা আল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর এই দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটি আর কোনো সরকারের সময় হয়নি। বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও পোড়াও আর জনগণ দেখতে চায় না, আর চায় না গ্রেনেড হামলা। জনগণ চায় নিশ্চিত উন্নয়নের বাংলাদেশ। আর যেটা কেবল আমাদের দিতে পারে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার। জনগণ আমাদের সঙ্গে ছিল এবং থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যায় না : শিরীন আক্তার

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নারীদের যতটুকু সহযোগিতা পাওয়া প্রয়োজন সেটি তারা পাচ্ছেন না। রাজনীতিতে এখন বিত্ত-বৈভবের পাশাপাশি পেশিশক্তিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটা নারীদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। এ ছাড়া সামাজিক অনেক কারণেই অদৃশ্য একটি সুতা পেছনে টেনে রাখে আমাদের দেশের নারীদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদে নারী অন্যদের তুলনায় বেশি হলেও আমি মনে করি জাতীয় সংসদে নারী সদস্যের সংখ্যা আরো বাড়ানো দরকার।

এবারের নির্বাচনের বিষয়ে বলব, এটা আমাদের জন্য যুদ্ধ। আশা করি বিগত ৯ বছরে শেখ হাসিনার সরকারের যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে জনগণ আর দেশে জঙ্গিবাদ, আগুন সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা দেখতে চায় না। জনগণ উন্নয়ন চায়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সঙ্গে থাকতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শেখ হাসিনার দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।

নারীর উন্নয়ন বর্তমান সরকারের কৃতিত্ব : সেলিমা আহমাদ

আমি নিজে একজন নারী এবং নারী উদ্যোক্তা এবং মহিলা চেম্বারের বর্তমান সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নারীদের সকল ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলেই আমি আমার এই পরিচয়ে দাঁড়িয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী-পুরুষের কোনো পার্থক্য করে না। বিগত ৯ বছরে নারীদের সকল ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন তার পুরোটাই বর্তমান সরকারের কৃতিত্ব। আমি কুমিল্লা-২ আসন থেকে নির্বাচন করছি। আশা করব বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসন উপহার দেব। 

এ পরিবেশে নির্বাচন করা খুব কঠিন : শামা ওবায়েদ

বর্তমানে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি একটা প্রতিকূল পরিবেশে। আপনারা জানেন যে, আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে যাচ্ছি। গত ১১ মাস ধরে আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন ‘মিথ্যা মামলায়’। আমাদের বহু নেতাকর্মীও কারাগারে আছেন। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের প্রার্থীদের জন্য নারী-পুরুষ সবারই একই অবস্থা। আমার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর-২। এখানে আমার নেতাকর্মী মাঠে আছে। আমার এলাকার যিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি একজন এমপি ছিলেন। তিনি এখনো পুলিশ প্রটোকল নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাইনি। তাই কোনো রকম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বাংলাদেশে নেই। এই পরিবেশে নির্বাচন করা খুবই কঠিন, বিশেষ করে নারী প্রার্থীদের জন্য।

এখনকার নির্বাচন অনেক বেশি পেশিশক্তির। তবে নির্বাচন কমিশন চাইলে, কমিশন তার ক্ষমতা প্রয়োগ করলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ করতে পারে। 

প্রতিকূল একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : আফরোজা আব্বাস

আমরা প্রতিকূল একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের সামনে আক্রমণ  করা হচ্ছে। প্রচারণার সময়ে হামলা চালানো হচ্ছে। ঠাকুরগাঁয়ে আমাদের মহাসচিবের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। আমার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিনেই কর্মীদের  আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার ও আব্বাসের প্রচারণায় হামলা চালিয়ে কর্মীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা নিজেরাই এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা একটি দুঃসহ ব্যাপার। আমরা বার বার নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সম্মানিত সদস্যদের  আনুরোধ করব, আপনারা আমাদেরই একটা অংশ। কারো ভাই, কারো বাবা ও কারো স্বামী। দেশের কল্যাণের কথা ভেবে দয়া করে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। সমগ্র দেশের মানুষ নির্বাচন কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে, তাদের ভোট নিরাপদে প্রয়োগ করার জন্য। তাদের মূল্যায়ন করুন দয়া করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads