একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগে তিন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের অনিয়ম তুলে ধরে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের, জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠান ও নির্বাচনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পর্যায়ক্রমে সফর।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকার বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে একটি বিবৃতি পাঠ করে শোনান বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিবৃতিতে বলা হয়েছ, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপব্যবহার করে এবং সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।’
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ফলে জনগণ নিজেদের মত প্রকাশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার তথা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।’
পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মোট তিনটি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেটের বালাগঞ্জে যাবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ঐক্যফ্রন্টের দাবি, সেখানে নির্বাচনী সহিংসতায় তাদের একজন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জনগণ যে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি বাছাই করে নিতে পারত, সেই নির্বাচন হয়নি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুসহ অন্যান্যরা।