• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ

মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ (মুসপ)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাতীয় বীর কর্নেল (অব.) শওকত আলী।  বর্তমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান  মাজেদা শওকত আলী। ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হাসান-উজ-জামান। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের উদ্যেগে বীর কর্নেল (অব.) শওকত আলীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হাসান-উজ-জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের স্মৃতি রোমন্থন করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মুসপের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (প্রাক্তন) রেজাউল করিম রেজা, মোতাহার হোসেন মোল্লা, যুগ্মমহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সচিব মাহমুদুর রহমান খোকন, প্রয়াত চেয়ারম্যানের কন্যা মেরিনা শওকত আলী, পুত্রবধূ ডা. তানিয়া খালেদ, ঢাকা মহানগর সভাপতি আলহাজ আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রজত কুমার সুর রাজু, সুমন নন্দী। আলোচকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠ্যপুস্তকে জাতীয় বীর কর্নেল (অব.) শওকত আলীর বীরত্বগাথা অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে মেরিনা শওতক আলীর তৈরি করা জাতীয় বীর শওকত আলীর জীবনীভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ তালুকদার ওমর আলীর পরিচালনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হাসান-উজ-জামান বলেন, ‘বর্তমানে আমি মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছি। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৭৮ সালের ২৬ আগস্ট। ঐ দুঃসময়ে কর্নেল শওকত আলীর নেতৃত্বে এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে আমরা উচ্চস্বরে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করব। আমরা জয় বাংলা উচ্চারণ করব। আমাদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যম হবে জয় বাংলা। মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধর আদর্শে গড়ে তুলব। এই সংগঠনে শুধু মুক্তিযোদ্ধারাই নয়, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মনে-প্রাণে ধারণ করেন তারাও এ সংগঠনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। নতুনদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করতে গেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বীরত্বগাথা, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা তুলে ধরতে হবে। এর মাধ্যমেই নতুন প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা দেওয়া সহজ হবে।’ মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সাংগঠিক সচিব  এনামুল হক আবুল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের জন্ম হয় ১৯৭৮ সালে। এই সংগঠনের সভাপতি কর্নেল শওকত আলী। জেনারেল সেক্রেটারি ফজলুল হক। ফজলুল হক আগলতলা ষড়যন্ত্র মামলার ১১ নাম্বার আসামি ছিলেন। এই মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রথম থেকেই আমরা দেখে আসছি ৭৫-পরবর্তী যখন জাতির পিতাকে হত্যা করা হয় সে সময় মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের পক্ষে আমরা মাঠে-ময়দানে সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে আসেন তখন আমরা তাকে সহায়তা করার জন্য পাশে থেকে কর্মকাণ্ড চালিয়েছি। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যে-কোনো কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করছি।

যারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সমর্থন করে তারাই এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, তার রাজনৈতিক জীবন নতুনদের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বই পড়তে হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম বুঝতে পারে বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। সেই গোপালগঞ্জের একটি ছেলে দেশমাতৃকার টানে নতুন এক স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হয়েছেন জাতির পিতা। নতুনদের মধ্যে এই চেতনা এখনো পুরোপুরি জাগ্রত হয়নি। সেই চেতনা জাগ্রত করতে আমাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। আমাদের পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি প্যারা রাখতে পারি। এ ছাড়া আমরা ফ্লাইওভারের নিচে যে খালি জায়গা আছে সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে  ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ করা যায়, যেখানে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন আত্মজীবনীসহ বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন বই পাওয়া যাবে। বিভিন্ন স্কুলের লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু কর্নার করা যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads