• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯

বাংলাদেশ

এমপিকে না জানিয়ে তার বিশেষ বরাদ্দ থেকে টেন্ডার আহ্বান

গফরগাঁওয়ে আ’লীগ নেতা কর্মীদের চরম ক্ষোভ

  • ময়মনসিংহ ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ময়মনসিংহ ১০ গফরগাঁও আসনের সরকার দলীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলকে না জানিয়ে তার বিশেষ বরাদ্দ থেকে সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পাকা সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে ময়মনসিংহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক রেখে এমপির ডিও লেটার ছাডাই জনগুরুত্বহীণ একটি সড়কের টেন্ডার আহবানের ঘটনাটি জানাজানি হলে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় ও উপজেলা আ’লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। ফেসবুক টুইটারসহ জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। পরে অবশ্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে নিয়ম বহিভুতএই টেন্ডার আহবানের কার্যক্রম বাতিল করা হয়।

দায়িত্বশীল সুত্রে জানা যায় গফরগাঁওয়ের মশাখালী ইউনিয়নের টানপাড়া বারো মসজিদ রেললাইন পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের জন্য এক কোটি ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬ টাকার দরপত্র আহ্বান করেন ময়মনসিংহের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিদুজ্জামান খান। আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে দরপত্র জমা দেওয়া শেষ তারিখ নির্ধারণ করা ছিল।

গফরগাঁও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সালাউদ্দিন পলাশ ও পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান সজীবসহ আ’লীগের অসংখ্য নেতা কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন স্থানীয় এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলকে আড়ালে রেখে আইন অমান্য করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তারা কিভাবে এই টেন্ডার আহ্বান করেছিলেন তা আমাদের জানা উচিত। যে সড়কটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে সেটি তেমন জনগুরুত্বপূর্ণ না।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহিদুজ্জামান খান বলেন, ‘বিশেষ একটি তদবির থাকায় এমপি মহোদয়ের বরাদ্দ থেকে এই প্রকল্পটির দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। যা গফরগাঁও উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে প্রস্তাবনা আকারে পাঠানো হয়েছিল। যাই হোক ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই প্রকল্পটি বাতিল করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল বলেন আমাকে না জানিয়ে আমার ডিও লেটার ছাডাই সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো। বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলীকে জানানোর পর দরপত্র বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছেন। নির্মাণের জন্য যে কোন প্রকল্প কার্যক্রম প্রস্তুত করতে সরকারের অনেক টাকা ব্যায় হয়। এই দরপত্র আহ্বানের জন্য অনেক টাকা দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার সহকর্মীদের খামখেয়ালির কারণে সরকারের টাকা এভাবে খরচ হবে এটা মেনে নেওয়া যায়না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads