• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
শাহ আমানতে ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয়

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

সংরক্ষিত ছবি

যোগাযোগ

শাহ আমানতে ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয়

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত বুধবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি বিমানের জরুরি অবতরণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল। এর জেরে বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয় ঘটেছে।

এদিকে আটকে পড়া মাস্কাটগামী একটি ফ্লাইটের ২১৫ জন যাত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছেন। পরে অভ্যন্তরীণ রুটের কয়েকটি বিমানে এসব যাত্রীকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

শাহ আমানত বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১২১ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে এসে বুধবার রাত ৮টায় শাহ আমানত বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইউএস-বাংলার বিমানের জরুরি অবতরণে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকায় নির্ধারিত ফ্লাইটটি শাহ আমানতে আসতে পারেনি। ফলে ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তন করে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ফ্লাইট ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে আবার যাত্রীদের জানানো হয় বিকাল সাড়ে ৩টায় ফ্লাইট ছাড়বে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। তারা বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর পেয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তারা ছুটে যান এবং যাত্রীদের পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করেন। সিভিল অ্যাভিয়শনের পক্ষ থেকে তাদের জিইসি মোড়ের নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে রাখার প্রস্তাব দিলে যাত্রীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে বিকাল ৩টায় ফ্লাইট ছাড়ার আশ্বাসে তাদের শান্ত করা হন। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে যাত্রীদের ঢাকা থেকে ফ্লাইটে মাস্কাট পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর কয়েকটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে এসব যাত্রীকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়।

বিমানবন্দর সূত্র আরো জানায়, প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকায় সব কয়টি বিমানের নির্ধারিত শিডিউল পিছিয়ে যায়। এ কারণে রিজেন্ট এয়ারের কলকাতা ফ্লাইট, ইউএস-বাংলার কলকাতা ফ্লাইট এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দোহা ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে যাত্রা করতে পারেনি। এ ছাড়া বাংলাদেশ বিমানের একটি, নভোএয়ারের দুটি ও ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটেরও ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আগমন বিলম্ব হয়।

প্রসঙ্গত, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামতে না পেরে বুধবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ১৭১ জন যাত্রী নিয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট। সামনের নোজ গিয়ার বের না হওয়ায় পেছনের চাকায় ভর করেই পাইলট বিমানটিকে অবতরণ করান। একপর্যায়ে বিমানটি রানওয়েতে মুখ থুবড়ে পড়লেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনার পরপর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়। টানা সাড়ে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে বিমানটি অতিরিক্ত চাকা লাগিয়ে ক্রেন দিয়ে রানওয়ে থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর পুনরায় বিমান ওঠানামা শুরু হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads