• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
১৩০ স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাস থামানো যাবে না : ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

১৩০ স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাস থামানো যাবে না : ডিএমপি কমিশনার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর ২০১৮

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, রাজধানীতে ১৩০টি বাস স্টপেজের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাস থামানো যাবে না। এগুলোতে বোর্ড লাগানো হচ্ছে। এসব স্থানের বাইরে কেউ বাস থামাতে পারবে না। পাশাপাশি বাস স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাসের দরজা খুলবে না, বন্ধ থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ২৪ অক্টোবর থেকে ঢাকায় ফের ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানীবাসীকে আইন মানতে বাধ্য করতে নানা  উদ্যোগ বাস্তবায়নে পুলিশের সঙ্গে এই ট্রাফিক সপ্তাহে রোভার্স স্কাউট, গার্ল গাইডস ও বিএনসিসির সদস্যসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১৬ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ শৃঙ্খলা সপ্তাহ চলবে।

মহানগর পুলিশের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কোনো ধরনের অপতৎপরতার চেষ্টা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং স্বাভাবিক অবস্থা বিঘ্ন হওয়ার সুযোগ নেই। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা বরদাশত করা হবে না। আমাদের পুলিশ সদস্যদের সে সক্ষমতা রয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র বাস থামানো, ফুটপাথে মোটরসাইকেল ওঠানো, লাইসেন্স ও নিবন্ধন ছাড়া গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, মোটরবাইক চালক ও আরোহী উভয়ের হেলমেট না পরা, উল্টোপথে গাড়ি চালানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলাসহ এ ধরনের অপরাধ করে আর পার পাবে না চালক ও মালিকরা।

তিনি বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে মোটরসাইকেল চালকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী উভয়কেই হেলমেট পরে সুশৃঙ্খলভাবে বাইক চালানোর অনুরোধ করছি। দুজনের বেশি যাত্রী উঠতে দেওয়া হবে না। থাকতে হবে হেলমেট। আর ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ নির্দেশনা সফল হয়েছে। পুলিশ সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করে থাকে মাত্র, রোড সেফটি, রোড ইঞ্জিনিয়ারিং অন্য প্রতিষ্ঠান করে। ঢাকায় ৫৪টি ট্রাফিক চেকিং আমরা সক্রিয় রেখেছি। ৮৮টি সিগন্যাল বাতির মধ্যে ১২টি সক্রিয় রয়েছে। ১২টি অটোমেটিকভাবে চালানোর উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।

আছাদুজ্জামান মিয়া যাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, যাত্রীরাও বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও নামতে পারবেন না। যাত্রীরা সড়কে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন না। যত্রতত্র ও ফোনে কথা বলা অবস্থায় রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না। জেব্রা ক্রসিং কিংবা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। বাস স্টপেজে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি বাসের সামনে চালকের ছবি ও ফোন নম্বর থাকতে হবে। বাসচালক সিটবেল্ট বেঁধে গাড়ি চালাবেন। চুক্তিভিত্তিক নয়, বাসের ড্রাইভার হবে বেতনভুক্ত। গত ৫ থেকে ১৪ আগস্ট চলা ট্রাফিক সপ্তাহে ১৪ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছিল। এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণ নেই। আইন-শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা যতটুকু বলি তার শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads