শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে প্রতিদিন দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের শেষ জেলা সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুের কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতুটি দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। এটি নির্মিত হলে ঢাকায় যেতে ৮০ কিলোমিটার পথ দূরত্ব কমে যাবে। আর সময় বাঁচবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। ৭০২ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৩৩ ফুট প্রস্থরে এই সেতুটি নির্মাণে সরকার বরাদ্দের ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির দ্রুত কাজ চলছে। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার সবচেয়ে দীর্ঘতম এই কুশিয়ারা সেতু। প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্য শেষ হয়েছে আশা করা হচ্ছে আগামী বছরই যাতায়াতের এই বিশাল সুবিধা ভোগ করবে সুনামগঞ্জের লাখো মানুষ।
জানা গেছে, কুশিয়ারা সেতু নির্মাণে ১৫৫ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দেয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ জগন্নাথপুর আউশকান্দি সড়ক নির্মাণে হাত দেন। পরে ২০২১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সহজ ও বিকল্প সড়ক প্রকল্পের কাজ বাতিল করে দেয়। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতা এলে এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প সবুজ পাতায় ফের প্রকল্পটি নিয়ে আসায় আবারো পুরোদমে কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে পরিকল্পনামন্ত্রীর উদ্যোগে বহুল কাঙ্ক্ষিত কুশিযারা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে। মূল সেতুর কাজ প্রায় অর্ধেকেরও বেশি শেষ হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সিলেট হয়ে ঢাকায় যেতে হয়। পাগলা আউশকান্দি সড়কের কাজ শেষ হওয়ায় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে আমাদের বিকল্প যোগাযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেতুটি হলেই আমরা কম সময়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বিকল্প যাতায়াত করতে পারব।
একেই এলাকার কবির আহমেদ বলেন, প্রতিদিনই দৃশ্যমান হচ্ছে আমাদের স্বপ্নের কুশিয়ার সেতু। দ্রুত গতিতে চলছে নির্মাণ কাজ। সিলেট শহর ঘুরে আমাদের ঢাকায় যেতে হত। সেতুর কাজ শেষ হলে আড়াই ঘণ্টা সময় বাঁচবে এবং কম খরচে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে পারব।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে গত বছর চীনা বিশেষজ্ঞরা না আসায় এখন দেশীয় বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী বছরের শুরুর দিকেই সেতুর কাজ শেষ হবে আশা করছি।
