• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
স্মরণীয় হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

স্মরণীয় হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০২২

ঐতিহাসিক পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুরের শিবচরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগমের আশা করছে ক্ষমতাসীন দল। বাংলাবাজার ঘাট পরিদর্শন করে গতকাল বৃহস্পতিবার এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারণে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মাপাড়ের আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখ লাখ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জনসভাও পরিণত হবে এক বিশাল জনসমুদ্রে। আমরা ধারণা করছি, পদ্মার দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ সভাস্থলে উপস্থিত হয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবে।

তিনি আরো বলেন, ‘জনসভার পর ফানুস উড়ানো থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এর সার্বিক দায়িত্বে আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর। সহযোগিতা করবেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মীর্জা আজম। দিনব্যাপী আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠবেন পদ্মাপাড়ের মানুষ। দীর্ঘদিনের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এ সভায়।’

বাহাউদ্দিন নাসিম এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তারা যদি কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম, পঁচাত্তরের ঘাতকদের মতো খুন সন্ত্রাস করতে চায় তাহলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করবে। তাদের কোনো অপশক্তিই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।’

সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ীতে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। ২৫ জুন সকাল ১০টার দিকে উদ্বোধন করা হবে পদ্মা সেতু। উদ্বোধন শেষে সেতুর ওপর দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে বেলা ১১টায় জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতিনিধিদলে অংশ নেওয়া চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের অঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তির সেতু। এটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বার উন্মোচিত হবে। এর ফলে মংলা নৌবন্দর, পায়রা নৌবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরে অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেললাইন যুক্ত হওয়ায় চিন্তাই করা যাবে না কী ধরনের অর্থনৈতিক তৎপরতা বাড়বে। পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু, এর জনসভাও হবে ঐতিহাসিক ও স্মরণীয়।’

প্রতিনিধিদলে ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, আফজাল হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, মাদারীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ আরো অনেকে।

পদ্মানদীর বুকে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর কাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসে প্রথম স্প্যান। মাঝে ২২টি খুঁটির নিচে নরম মাটি পাওয়া গেলে নকশা সংশোধনের প্রয়োজন হয়। তাতে বাড়তি সময় লেগে যায় প্রায় এক বছর।

করোনাভাইরাস মহামারি আর বন্যার মধ্যে কাজের গতি কমে যায়। সব বাধা পেরিয়ে অক্টোবরে বসানো হয় ৩২তম স্প্যান। এরপর বাকি স্প্যানগুলো বসানো হয়ে যায় অল্প সময়ের মধ্যেই। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় পূর্ণ আকৃতি পায় স্বপ্নের সেতু, যুক্ত হয় পদ্মার দুই পাড়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads