• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : সংগৃহীত

অপরাধ

কঠোর নজরদারিতে জঙ্গি কর্মকাণ্ড

৫ বছরে চিহ্নিত ৪ হাজার ৩১ জঙ্গি

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ২৩ এপ্রিল ২০১৮

সারা দেশে গত ৫ বছরে ৪ হাজার ৩১ জঙ্গি চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখা। চিহ্নিত এসব জঙ্গি নিষিদ্ধঘোষিত হরকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহরীর, আনসারুল্লাহ বাংলাটিম, জেএমবি ও নব্য জেএমবি দলের সদস্য। পুলিশ সদর দফতর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

চিহ্নিত এসব জঙ্গির ৩ হাজার ২২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাট্যালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছে ১ হাজার ৩৪৬ জন। আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছে ২৩৬ ব্যক্তি। বিদেশ পালিয়েছে ১০ আসামি। জামিনে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে আত্মগোপনে ২১৯। কারাগারের কনডেমনড সেলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় ২৬ আসামি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ৭০ অভিযুক্ত এবং অন্যান্য ৬৭৯। বাকিরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছে বিভিন্ন মামলায়।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে যাওয়া জঙ্গিরা ফের সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। র্যাব পুলিশ ও গোয়েন্দারা বলছে, নজরদারিতে রাখা হয়েছে জঙ্গি তৎপরতা।

২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর দেশজুড়ে জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীর রূপনগর, কল্যাণপুর, আজিমপুর, মোহাম্মদপুর ভেড়িবাঁধ, দক্ষিণ খান, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া, সিলেটের আতিয়া মহল, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে জঙ্গিবাদকে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হলি আর্টিজানের হামলার পর জঙ্গিবাদকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করছে।

অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, পুলিশ বাহিনীর বেশ কিছু সদস্য হত্যা করেছে জঙ্গিরা। হলি আর্টিজানে হামলায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। ওই ঘটনার পর পুলিশ একের পর এক জঙ্গি ডেরায় সফল অভিযান পরিচালনা করে অনেক সক্রিয় জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জঙ্গি কর্মকাণ্ড একেবারে শেষ হয়ে গেছে এটাও বলছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টির বাইরে এসব জঙ্গি নিষ্ক্রিয়। জঙ্গিদের একাংশ ইন্টারনেটে জঙ্গি তৎপরতায় উদ্ধুদ্ধ হয়েছে। এরা আবার নাশকতা করার চেষ্টা করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখছে তারা যেন কোনো নাশকতা বা অপতৎপরতা চালাতে না পারে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads