পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যায় মেয়ে ঐশীকে সহযোগিতার অভিযোগ থেকে গৃহপরিচারিকা খাদিজা আক্তার সুমিকে খালাস দিয়েছে আদালত। ঢাকার মহানগর শিশু আদালতের বিচারক মহানগর দায়রা জজ আল মামুন রোববার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুমি বলে, আমি তো সহযোগিতা করি নাই। আমি তো দোষী না সেটা বলছিলাম। আরও আগে এই রায় দেওয়া উচিৎ ছিল। এ মামলায় নিম্ন আদালত ঐশী রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও হাই কোর্ট ২০১৭ সালে তার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। আর গৃহকর্মী সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মামলার তার অংশের বিচার চলে শিশু আদালতে।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর পরদিন তাদের মেয়ে ঐশী রহমান রমনা থানায় নিজে আত্মসমর্পণ করে। পরবর্তী সময়ে তিনি আদালতে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর ঐশী রহমানের ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।