সাতক্ষীরার আশাশুনিতে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ধারণা পুলিশের। গত রোববার রাত ১১টার পর উপজেলার গাবতলা গ্রামের নির্মল সরকারের বাড়ি থেকে নয় বছর বয়সী সুস্মিতার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানিয়েছেন, ওই গ্রামের প্রশান্ত দাসের মেয়ে সুস্মিতা গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী নির্মল সরকারের ছেলে বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র জয়দেব সরকারকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রশান্ত দাস বলেন, তার মেয়ে নির্মল সরকারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে অম্বিকা সরকারের কাছে প্রতিদিন বিকালে প্রাইভেট পড়তে যেত। গত রোববার বিকালে অম্বিকা বাড়িতে না থাকায় তার ভাই জয়দেব তার মেয়েকে পড়ায়। এরপর সুস্মিতা বাড়িতে ব্যাগ রাখতে এলে জয়দেব আবার তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গাবতলার সত্য রঞ্জন দাসের দোকান থেকে খাবার কিনে আমার মেয়েকে জয়দেব বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে সে।
এ ঘটনায় জয়দেবকে গ্রেপ্তারের পর সে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া সুরতহাল প্রতিবেদনে হত্যার আগে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানান।
জয়দেবের বরাতে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মেয়েটি জ্ঞান হারালে সে মারা গেছে ভেবে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়। পরে গ্রামবাসী সুস্মিতাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে পুকুরে জাল ফেলে তার লাশ তুলে বাথরুমে ফেলে রাখা হয়।
