নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক অটোরিকশা চালক ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- সুবর্ণচর উপজেলার পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের মৃত তৈয়বের ছেলে ইসরাফিল আজাদ স্বপন (২৩) ও একই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিন (২২)।
ভিকটিমের বরাত দিয়ে চরজব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় ভ’মিহীন বাজার জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী (১৩) তার মাকে হাতিয়া যাওয়ার জন্য এগিয়ে দিতে বুড়ার দোকান এলাকায় যায়। মাকে পৌঁছে দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ব্যাটারিত চালিত অটোরিকশা চালক স্বপন ভিকটিমকে ভাড়া ছাড়া বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার অটোরিকশায় তুলে। দিনের বাকী সময় স্বপন ভিকটিমকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে রাত ৯টার দিকে চরমজিদ গ্রামের শাহজাহানের বাড়ির পাশে একটি নির্ঝনস্থানে নিয়ে যায়। ওই স্থানে আগে থেকে অপেক্ষা করে স্বপনের সহযোগী নিজাম। পরে রাতে তারা দুই জন মিলে জোরপূর্বক ভিকটিমকে গণধর্ষণ করে। পরে সকালে বাড়ী ফিরে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানায় ভিকটিম।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে স্বপন ও নিজামকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বপন ও নিজামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।
এর আগে, গত ৩১ ডিসেম্বর সুবর্ণচরে চার সন্তানের এক জননী গণধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।