• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
এনবিআর সার্ভার হ্যাকিংয়ে জড়িতরা চিহ্নিত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

এনবিআর সার্ভার হ্যাকিংয়ে জড়িতরা চিহ্নিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ মার্চ ২০১৯

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে নেওয়া জালিয়াত চক্রটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই চক্রটি কিছু কাস্টমস কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে ২২টি কনসাইনমেন্টের মাধ্যমে পণ্য খালাস করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যে চক্রটি চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্টতার নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে, মামলা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম কাজ করছে।

তিনি জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাসের ঘটনায় রমনা থানায় গত ১৬ জানুয়ারি একটি মামলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ৩০টি কনটেইনার ছাড় করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। পণ্য খালাসে জড়িত দুটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের মালিককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মো. মিজানুর রহমান চাকলাদার ওরফে দীপু ও অপু চাকলাদার।

সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের তদন্ত দলের প্রধান আবদুল হাকিম বলেন, এ ঘটনায় ২২টি পণ্যের চালান বেরিয়ে গেছে। যেখানে ঘোষণা ছিল স্টিল জাতীয় পণ্যের। তবে কী ধরনের পণ্য বেরিয়ে গেছে তা এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। তবে অভিযোগ রয়েছে সিগারেট ও মাদক জাতীয় পণ্যের। আরো পণ্য এভাবে বেরিয়ে গেছে কিনা তা তদন্ত শেষে বলা যাবে।

জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাসের ঘটনা আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে কমিটি ছাড়াও আরো তিনটি কমিটি কাজ করছে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক শহিদুল ইসলাম। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তদন্ত কমিটির প্রধান কমিশনার (আপিল) ফখরুল আলম, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) কমিটির প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিচালক খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন এবং চট্টগ্রাম কাস্টমসের গঠিত কমিটির প্রধান যুগ্ম কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান।

দ্রুত সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পণ্য ছাড় করানোর জন্য বেশ কয়েক বছর হলো বিশ্বমানের অ্যাসাইকুডা সফটওয়্যারে যুক্ত হয় বাংলাদেশ কাস্টমস। এর মাধ্যমেই চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের সবকটি শুল্ক স্টেশন ও বন্দরে পণ্য খালাস হয়ে থাকে। তবে আধুনিক সফটওয়্যার হলেও যথাযথ নজরদারির অভাবে অসাধু চক্রের কবলে পড়ে এ সফটওয়্যারটি। কাস্টমস কর্মকর্তাদের সরকারি আইডি ও পাসওয়ার্ড চুরি করে পণ্য পাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্র তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই সার্ভারের অবৈধ ব্যবহার করেছে। আর এ সময়ে চক্রটি শত শত কোটি টাকার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় করে নিয়েছে। এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর দফায় দফায় তদন্ত করে, জড়িত ১৪ আমদানিকারক ও ৭ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে চিহ্নিত করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads