• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
চট্টগ্রামেও হাজার কোটি টাকার প্রকল্প জি কে শামীমের

ছবি : সংগৃহীত

অপরাধ

চট্টগ্রামেও হাজার কোটি টাকার প্রকল্প জি কে শামীমের

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ০৫ অক্টোবর ২০১৯

বৃহত্তর চট্টগ্রামেও হাজার কোটি টাকার প্রায় এক ডজন প্রকল্প গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের মালিকানাধীন জিকেবিপিএলের অধীনে। এসব প্রকল্পে তার ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে কাজ করছে- রয়েল অ্যাসোসিয়েটস্, ফ্রেন্ডস ইন্টারন্যাশনাল, ডেলটা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসোর্টিয়াম ও দেশ উন্নয়ন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চারটি প্রকৌশল ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের ৬টি প্রকল্পের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে জি কে বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড (জিকেবিপিএল)-এর অধীনে। এর মধ্যে গণপূর্ত চট্টগ্রাম-১ বিভাগের অধীন আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনিতে ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে জরাজীর্ণ ১১টি ভবন ভেঙে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে।

এছাড়া ৪৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িসমূহে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজও চলছে। পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১১৪ নম্বর ও ৫২ নম্বর বাড়িতে ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৯ টাকার প্যাকেজের কাজ শুরু হয় গত বছরের ২৭ মার্চ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুটি ভবনসহ কক্সবাজার ও বান্দরবানেও একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শামীমের প্রতিষ্ঠান। চবি’র নতুন কলা ভবন নির্মাণের ৭৫ কোটি টাকার টেন্ডার জাল কাগজপত্র দাখিল করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান চালিয়ে তার প্রমাণ পেয়েছে।

বান্দরবানের চিম্বুক এলাকার ছাইঙ্গ্যাপাড়ায় চলছে ‘সিলভান ওয়াই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’ নির্মাণকাজ। প্রায় ৫০ একর এলাকাজুড়ে রিসোর্টটি নির্মাণে বিনিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

জি কে শামীমের এসব কাজের অংশীদার চন্দনাইশের জসিম উদ্দিন মন্টু, যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম, মুমিনুল হক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান চৌধুরীর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

অভিযোগ রয়েছে, সদ্য অবসরে যাওয়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও আরেক সাবেক অতিরিক্ত প্রকৌশলী আবদুল হাইয়ের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের সব ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেয় জি কে শামীম। কাজ পেতে শামীম বিভিন্ন সময় তাদের ঘুষ দিয়েছেন হাজার কোটি টাকা। ধরা পড়ার ভয়ে এই দুই প্রকৌশলী এখন লাপাত্তা।

সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সরকারের এতগুলো উন্নয়নকাজের টেন্ডার কীভাবে পেয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ দেওয়া হয়েছে কি না তা-ও দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যদি এসব প্রকল্পের কোনোটির ক্ষেত্রে অগ্রিম বিল নেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে সেক্ষেত্রে তার অন্য প্রকল্পের পাওনা থেকে সমন্বয় করা হবে। আর এসব অনিয়মের তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads