• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
বাসের হেলপার থেকে কোটিপতি ইউপি চেয়ারম্যান!

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

বাসের হেলপার থেকে কোটিপতি ইউপি চেয়ারম্যান!

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০২০

অবৈধ সম্পদ অর্জণের মাধ্যমে কোটিপতি বনে যাওয়া সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবিদুল ইসলামের দুর্নীতি তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

ইতোমধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে নবিদুলের সম্পদ অনুসন্ধান ও কয়েক দফা শুনানি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ,বি,এম রওশন কবীর। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, বাসের হেলপার থেকে কোটিপতি হওয়া ইউপি চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদকে একটি অভিযোগ করা হয়েছিল। দুদক প্রধান কার্যালয়, ঢাকা থেকে অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসক সিরাজগঞ্জ বরাবর জুলাই মাসের প্রথম দিকে একটি চিঠি দেয়া হয়। 

জেলা প্রশাসক এই অভিযোগটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ইতিমধ্যে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের দু’দফা শুনানী করা হয়েছে। নির্বাচন অফিসে তার দেওয়া হলফনামা ও রিটার্নে উল্লেখ করা সম্পদের সাথে বর্তমান সম্পদ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তর করা হবে। জেলা প্রশাসক ওই প্রতিবেদন দুদকে জমা দিবেন।   

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী সিরাজগঞ্জ জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত গণশুনানীতে ইউপি চেয়ারম্যান নবিদুল ইসলাম বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এক সময় বাসের হেলপারি করা নবিদুল ইসলাম প্রথমে সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি মুলিবাড়ি গ্রামে ৫তলা ও দ্বিতল দুটি বাড়ি নির্মান করেন। ঢাকায় ৫টি ফ্ল্যাট কেনেন। এছাড়াও তার নিজস্ব ২০টি ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, নিরীহ মানুষকে মামলা- মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া ছাড়াও মাদকসহ এলাকার সকল অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব অভিযোগ গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ,বি,এম রওশন কবীর। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads