• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
ড্রামে মিলল যুবকের গলাকাটা মরদেহ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

ড্রামে মিলল যুবকের গলাকাটা মরদেহ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ নভেম্বর ২০২০

নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার শিকার কুমিল্লার সিদ্দিকুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবকের মরদেহ চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার টামটা এলাকায় স্টিলের ড্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানা, সিআইডি ও পিবিআই পুলিশ যৌথভাবে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের পাশে রাজাপুরা নামক স্থান থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেন। হত্যার শিকার সিদ্দিুকুর রহমান কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার কাজীপাড়া এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে।

বুধবার সকালে এই ঘটনায় শাহরাস্তি থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহ থানায় রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হবে।

শাহরাস্তি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মান্নান জানান, প্রথমে ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে রাত দুইটার দিকে কুমিল্লা দক্ষিণ থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিচয় পাওয়া যায় এবং ওই যুবক ৯ নভেম্বর বিকেল ৫টায় নিখোঁজ হয় বলে জানতে পারি। মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা সদর থানায় জিডি হয়। যার নম্বর ৪৮৪।

তিনি আরো বলেন, যুবকের মা লুৎফুন্নাহার মুঠোফোনে জানিয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান দু’টি বিবাহ করেছেন। এর মধ্যে প্রথম স্ত্রীকে গত ২ মাস আগে তালাক দিয়েছেন। ওই স্ত্রীর পাওনা কাবিনের টাকাসহ সবকিছু গত শনিবার (৭নভেম্বর) পরিশোধ করা হয়েছে। গত ১ মাসে আগে সিদ্দিক আরেকটি (দ্বিতীয়) বিবাহ করেন। তবে হত্যার কারণ তিনি (মা) বলতে পারেননি।

শাহরাস্তি থানা পুলিশ আরো জানায়, মরদেহ উদ্ধারের সময় (সুরতহাল) দেখা গেছে ওই যুবকের গলাকাটা, গোপনাঙ্গ কাটা, পিঠে ৯টিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও রক্তাক্ত জখম রয়েছে। পরনে জিন্সের পেন্ট ও টি শার্টছিলো। নিখোঁজের সময় তার সাথে দু’টি মোবাইল ছিলো। যার নম্বরগুলো হচ্ছে-০১৭০৬০১৮৬৪০ এবং ০১৮১১৯৯০০৭৮।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, উদ্ধারের সময় যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গভীর রাতে পরিচয় জানতে পেরেছি। তার লাশটি আমরা ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের শাহরাস্তি উপজেলার রাজাপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করি। মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ ডায়েরী করে পরিবার। রাতে উদ্ধার হওয়া যুবকের মরদেহ দেখার ব্যবস্থা হলে পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেন। তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাযাবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads