• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হলো ৬ গ্যান্ট্রি ক্রেন

চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হওয়অ গ্যান্ট্রি ক্রেন

সংগৃহীত ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হলো ৬ গ্যান্ট্রি ক্রেন

বন্দরের হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ বাড়বে

  • শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
  • প্রকাশিত ০৬ অক্টোবর ২০১৮

দীর্ঘ ১৩ বছর চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনা না হলেও মাত্র দুই মাসের মধ্যেই দুই দফায় চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন। পাইপলাইনে রয়েছে আরো চারটি। বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যান্ট্রি ক্রেনগুলো যুক্ত হওয়ায় বন্দরের হ্যান্ডলিং ক্ষমতা আগের তুলনায় দ্বিগুণ হবে।

বন্দর সূত্র জানায়, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পূর্ণ ক্ষমতায় অপারেশনাল কার্যক্রম চালানোর জন্য বেশ কয়েক বছর আগেই ১১টি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ মোট ৬১টি অত্যাধুনিক ইক্যুইপমেন্ট কেনার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম বন্দর। মোট এক হাজার ১৬০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের আওতায় গত আগস্ট মাসে চীন থেকে আমদানি করা হয় তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেন। ইতোমধ্যে এ তিনটি ক্রেন দিয়ে এনসিটিতে কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আরো তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেন নিয়ে বন্দর জেটিতে ভিড়েছে চীনা পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি জিন চেন হাই ইয়াং’। এগুলোও বসানো হবে এনসিটিতে।

এ ছয়টি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বাড়লেও বন্দরে কনটেইনার জটের কারণে এসব ক্রেন পূর্ণ ক্ষমতায় পরিচালনা করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বন্দর কর্মকর্তাদের মধ্যে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য জাফর আলম এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, এর কাঙ্ক্ষিত সুফল পেতে হলে বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি নেওয়ার ক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। কনটেইনার রাখার জন্য ইয়ার্ড ফ্রি রাখতে হবে। দিনের পর দিন কনটেইনার ফেলে রেখে যদি বন্দর ইয়ার্ডকে কনটেইনার রাখার গুদাম হিসেবে তারা ব্যবহার করতে চায় তাহলে এসব ইক্যুইপমেন্ট ব্যবহারে পুরোপুরি সুফল আসবে না।

গ্যান্ট্রি ক্রেনের অভাবে এত দিন গিয়াসলেস জাহাজগুলো থেকে সেখানে কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব ছিল না। বন্দর সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনা হয়। চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনালে (সিসিটি) স্থাপিত এসব ক্রেনের মধ্যে সচল রয়েছে দুটি। দীর্ঘ ১৩ বছর পর গত আগস্টে আসা তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেন স্থাপন করা হয় এনসিটিতে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে এসব ক্রেন দিয়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম শুরু হয়।

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও আমদানি-রফতানির যে প্রবৃদ্ধি, তা সামাল দেওয়ার জন্য এসব যন্ত্রপাতির ব্যবহার কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালে বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯৯ টিইইউস। সর্বশেষ ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে হ্যান্ডলিং হয় ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৭স টিইইউস কনটেইনার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads