• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
করোনায় স্থবির বিশ্ব অর্থনীতি

প্রতীকী ছবি

অর্থ ও বাণিজ্য

করোনায় স্থবির বিশ্ব অর্থনীতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ মার্চ ২০২০

স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব। সর্বত্র দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। কী হবে কেউ বুঝতে পারছে না। বিশ্বের অনেক এলাকা ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে। অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে হচ্ছে ঘরের ভেতর। খাবারের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে মানুষ। আর এসবই হয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে। যুদ্ধ-বিগ্রহ, খড়া, জলোচ্ছ্বাস, দুর্ভিক্ষ- বিশ্বের কোথাও না কোথাও লেগেই থাকে। এসব দেখেই অভ্যস্ত বিশ্ববাসী। কিন্তু অবরুদ্ধ হয়ে থাকাটা মনে হয় এবারই প্রথম। খবর : বিবিসি, সিএনএন ও আলজাজিরা।

এ শতাব্দীর শুরুতে ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছিল, কয়েক বছরের মধ্যে তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয় বিশ্ব। এরপর শুরু হয় আরব বসন্ত। শাসক বদলের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যে রাজনৈতিক ডামাডোল সৃষ্টি হয় তা এখনো বিরাজমান। এর মধ্যেই আইএসআইয়ের উত্থান-পতন দেখে বিশ্ব। কোনো কিছুই বিশ্বকে নাস্তানুবাদ করতে পারেনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস যেন বিশ্ববাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। অফিস-আদালত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চলছে না কলকারখানার চাকা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে। এসব থেকে সাময়িকভাবে হয়তো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে, কিন্তু এর কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার না হওয়ায় কতদিন পর্যন্ত এ ভাইরাস মানুষকে কাবু করে যাবে-বিশেষজ্ঞরা সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না।

করোনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে ভাটা। ধস নেমেছে বিমানের ফ্লাইট বাতিল থেকে শুরু করে শেয়ারবাজারে। নতুন করে লিখতে হচ্ছে অর্থনীতির অনেক হিসাব-নিকাশ। চলতি সপ্তাহের সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও ডাও জোনস সূচক ৮ শতাংশ হারে পড়েছে। এ কারণে সেদিন বিশ্বের ৫০০ ধনীর ২৩৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর সম্পদমূল্য কমেছে তিন হাজার ৭৭০ কোটি ডলার।

এর আগে ১৯৮৭ সালের এক সোমবার শেয়ারবাজারে বড় ধস নেমেছিল।

সে কুখ্যাত দিনটি ব্ল্যাক মানডে হিসেবে পরিচিত। আর এ সপ্তাহের সোমবার বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর নয়জনের প্রত্যেকেরই সম্পদ কমেছে ১০০ কোটি ডলারের ওপরে। টাকার অঙ্কে ও হারে এদিন সবচেয়ে বেশি সম্পদমূল্য কমেছে বিলাসবহুল পণ্য নির্মাতা বার্নার্ড আরনল্টের। তার সম্পদমূল্য কমেছে ৬০০ কোটি ডলার বা ৬ শতাংশ। তিনি প্যারিসভিত্তিক এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী এবং বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী। সোমবার তার সম্পদমূল্য দাঁড়ায় নয় হাজার ২৬০ কোটি ডলার, শুক্রবার যা ছিল নয় হাজার ৮৬০ কোটি ডলার।

দিন শেষে বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের সম্পদমূল্য কমেছে ৫৬০ কোটি ডলার। আগের সপ্তাহেই তার সম্পদ কমেছিল এক হাজার ৪১০ কোটি ডলার। আমাজনের শেয়ারমূল্য কমেছে ৫ শতাংশের বেশি। ফলে দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে নেমে এসেছে আমাজনের শেয়ার। বিনিয়োগ-গুরু ওয়ারেন বাফেটও বাদ যাননি। তার সম্পদমূল্য কমেছে ৫৪০ কোটি ডলার। দুই সপ্তাহে আগেই বাফেট করোনা ভাইরাসকে মার্কিন অর্থনীতির সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন।

এ পরিস্থিতিতে শীর্ষ ধনীদের মধ্যে কেউ কেউ ব্যবস্থা নিয়েছেন। মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিল গেটস ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছিলেন, করোনার প্রভাব মোকাবেলায় তাদের ফাউন্ডেশন ১০ কোটি ডলার দেবে। এ ফাউন্ডেশন সাধারণত স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করে থাকে। গত মাসে এক নোটেও বিল গেটস এ ভাইরাস সম্পর্কে লিখেছিলেন।

ভাইরাস নিয়ে নানা বিজ্ঞাপন সত্ত্বেও শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানি ফেসবুক ও অ্যালফাবেটের শেয়ারের দাম কমেছে। এতে মার্ক জাকারবার্গ ও ল্যারি পেজের সম্পদমূল্য কমেছে যথাক্রমে ৪২০ কোটি ও ৩৩০ কোটি ডলার। ওই দিন বিলিয়নারি সূচকে থাকা ধনীদের ৯২ শতাংশই ক্ষতির মুখে পড়েন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় বিশ্বের সব মহাদেশের শীর্ষ ধনীদের নামই এসেছে। ওই দিন ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির ক্ষতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। চীনের শীর্ষ ধনী, জনপ্রিয় ট্রেডিং সাইট আলিবাবার কর্ণধার জ্যাক মার ক্ষতি হয়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। ২০০৭-০৮ অর্থবছরের পরে এটিই বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় আর্থিক সংকটের ঘটনা।

করোনার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন এমন বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বিভিন্ন এয়ারলাইনসের শেয়ার দরে পতন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কান্তাস এয়ারওয়েজের। এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর ৯.৯০ শতাংশ কমেছে ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই। এ ছাড়া জাপানের এএনএ হোল্ডিংস ও জাপান এয়ারলাইনসের শেয়ার দর কমেছে যথাক্রমে ৫.৬৩ শতাংশ ও ৭.০৩ শতাংশ। কোরিয়ার এয়ারের শেয়ার দর কমেছে ৪.৬২ শতাংশ।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনের ওপরও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় নিষেধাজ্ঞায় আটলান্টিকের ওপারের মহাদেশটিকেও যুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র। আগামী শুক্রবার থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। শিল্প খাত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এ নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে ইউরোপের কয়েক ডজন বিমানবন্দরে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে অনেকের শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় বিমানবন্দরগুলো ও পর্যটন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও অভিমত তাদের।

ইউরোপে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনসগুলো ইতালিতে তাদের ফ্লাইট সংখ্যায় কাঁটছাট করেছে; নতুন এ নিষেধাজ্ঞার পর তাদের ফ্রান্স ও জার্মানির ফ্লাইটগুলোর চাহিদাও কমতে থাকবে। তবে নতুন এ নিষেধাজ্ঞা সবচেয়ে বেশি বিপাকে ফেলবে জার্মানির লুফথানসা ও ফ্রান্সের এয়ার ফ্রান্স কেএলএমের মতো প্রভাবশালী এয়ারলাইনসগুলোকে। ইউরোপের মূল ভূখণ্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার ফ্লাইটের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আসা এ দুটো ক্যারিয়ারের কয়েক ডজন বিমানকে গ্রাউন্ডেড রাখতে হবে। বয়েড গ্রুপ ইন্টারন্যাশনালের এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ মাইক বয়েড বলেন, ইউরোপের ফ্লাইটগুলোর ওপর এ নিষেধাজ্ঞা মূলত বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে শেষ করে দেবে।

করোনার জেরে বিমান যাত্রী কমেছে প্রায় সব দেশেই। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমান সংস্থাগুলোকেও বেগ পেতে হচ্ছে। এরই মধ্যে মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এয়ার এশিয়া যাত্রী টানতে বিশাল ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সংস্থায় ভ্রমণে যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো সিট ফেয়ার নিচ্ছে না। এয়ার এশিয়া এটিকে বলছে বিগ সেল।

করোনার কারণে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের পর্যটক ভিসা স্থগিত করেছে ভারত সরকার। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে ফ্লাইট বন্ধ করছে কয়েকটি এয়ারলাইনস। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কূটনৈতিক, জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা, চাকরি এবং প্রজেক্ট ভিসা ছাড়া বিদ্যমান সব ধরনের ভিসা স্থগিত থাকবে বলে বুধবার সন্ধ্যায় জানায় দেশটি।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে নভোএয়ার জানিয়েছে, ১৪ মার্চ থেকে ঢাকা-কলকাতাগামী ফ্লাইট বন্ধ রাখবে এয়ারলাইনসটি। এ সময়ের টিকিট কাটা যাত্রীরা বিনা চার্জে রিফান্ড করতে পারবেন। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসও বন্ধ করছে ভারতগামী ফ্লাইট। এয়ারলাইনসটির মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ১৫ মার্চ থেকে চেন্নাই রুটের এবং ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা রুটের ফ্লাইট বন্ধ করা হবে।

ঢাকা থেকে কলকাতা ও দিল্লি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও ১৪ মার্চ থেকে এ দুই রুটে ফ্লাইট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, কলকাতায় ও দিল্লিতে ভারতের নির্দেশিত সময় পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখা হবে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, আমাদের দেশে যেসব ভারতীয় আছেন এবং ভারতে যেসব বাংলাদেশি আছেন, তাদের ঢাকায় ফেরাতে আমরা কয়েক দিন ফ্লাইট চালানোর কথা জানিয়েছি ভারতকে। তারা অনুমতি দিলে কয়েকদিন এসব ফ্লাইট চলবে, এরপর বন্ধ থাকবে।

চীনের উহান থেকে উৎপত্তি লাভ করা নভেল করোনা ভাইরাস এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ৩০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪ হাজার ৬৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চীনের পর আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ইরান, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)।

করোনা ঠেকাতে দেশগুলোকে জরুরি ও ব্যাপক পদক্ষেপ নিতে জোরালো আহ্বান জানাচ্ছে সংস্থাটি। ডব্লিউএইচওর প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, আমরা সতর্কঘণ্টা জোরে ও স্পষ্ট করে বাজিয়ে চলছি। চীনের বাইরে গত দুই সপ্তাহে এ ভাইরাস প্রায় ১৩ গুণ বেড়েছে। আমরা এ ভাইরাসের ভয়াবহতায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে বর্ণনা করতে গিয়ে ডব্লিউএইচও এ ভাইরাসের বিস্তারকে প্যানডামিক বলে অভিহিত করে। ইংরেজি প্যানডামিক বলতে যেমন মহামারি বোঝায়, তেমনি এপিডেমিক বলতেও মহামারি বোঝায়। দক্ষিণ এশিয়ায় মহামারি হিসেবে এপিডেমিক শব্দটিই বেশি পরিচিত। তবে এই দুই মহামারির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ প্যানডামিক আর এপিডেমিক এক নয়।

একসময় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশেই কলেরা, গুটিবসন্ত, প্লেগের মতো প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ ব্যাপক আকারে দেখা দিত। উজাড় হয়ে যেত গ্রামের পর গ্রাম। পরবর্তী সময়ে গবেষকরা এসব রোগের প্রতিষেধক টিকা ও ওষুধ আবিষ্কারের পর প্রাদুর্ভাব কমে আসে। গুটিবসন্তের ভাইরাস নির্মূলই বলা যায়। প্লেগও আর দেখা যায় না। কলেরার তেন একটা দেখা যায় না।  কলেরা, বসন্ত, প্লেগ দেখা দিত নির্দিষ্ট কোনো ভৌগোলিক এলাকায়। নির্দিষ্ট এক বা একাধিক গ্রাম বা অঞ্চলে। এর গণ্ডি ছিল একটা দেশের মধ্যেই। তা এগুলো মহামারি হিসেবে এপিডেমিক।

করোনা ভাইরাসের সঙ্গে উল্লিখিত রোগের ভাইরাসের পার্থক্য সুস্পষ্ট। করোনা নির্দিষ্ট কোনো অঞ্চল বা দেশে আটকে নেই। শতাধিক দেশে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। দৌরাত্ম্য ক্রমে বেড়েই চলেছে। করোনা সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগ বিশ্বের সব মহাদেশেই ছড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১৪টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এসব কারণে কলেরা-বসন্তের ভাইরাসের চেয়ে করোনার ভয়াবহতা আলাদা।

এর বিস্তৃতি প্রায় বিশ্বজুড়ে। তাই এটা মহামারি হিসেবে প্যানডামিক। ডব্লিউএইচওর মতে করোনাকে মহামারি বলে ঘোষণা করে এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিশ্বের দেশগুলোকে পদক্ষেপ জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভাইরাস ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বলিভিয়া, হন্ডুরাস, তুরস্কের মতো নতুন দেশে ছড়িয়েছে। ইন্দোনেশিয়া, বুলগেরিয়া ও সুইডেনে করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads