• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯
শ্রীমঙ্গলে বৃষ্টিতে চায়ের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সংগৃহীত ছবি

ব্যবসার খবর

শ্রীমঙ্গলে বৃষ্টিতে চায়ের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

  • শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ মার্চ ২০২১

চা শিল্পাঞ্চলে গোল্ডেন রেইন: বাম্পার উৎপাদনের আশাবাদ

 

 

আতাউর রহমান কাজল, শ্রীমঙ্গল


শ্রীমঙ্গলের চা শিল্পাঞ্চলসহ মৌলভীবাজার জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় চা শিল্পাঞ্চলে এবার বাম্পার চা উৎপাদনের আশা করছেন চা বিজ্ঞানীসহ চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারি জাহেদুল ইসলাম মাসুম জানান, গত ৩ দিনে শ্রীমঙ্গলে ৪০.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। 

চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা এ বৃষ্টিপাতকে 'গোল্ডেন রেইন' হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ বৃষ্টি চা-শিল্পের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল যা চা উৎপাদনে উপকার হবে।

শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, এ বৃষ্টিপাতের প্রতিটি ফোঁটা চায়ের জন্য বিশাল উপকারে আসবে এবং প্রুনিং করা চা গাছে কুঁড়ি আসতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ২/৩ দিনের মধ্যেই আমরা টিপিং-এ যাব। ড. আলী আরো বলেন, চলতি মৌসুমে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭.৭৮ মিলিয়ন কেজি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চা উৎপাদন ৯৬ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যাবে। 

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক বলেন, গত ৩ দিনের বৃষ্টিপাত চা-শিল্পের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এখন কুঁড়ি বের হওয়া শুরু করেছে। এই বৃষ্টির ফলে চা পাতা চয়নের কাজ ত্বরান্বিত হবে এবং চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

শ্রীমঙ্গলের ইস্পাহানী চা কোম্পানির জেরিন টি এস্টেটের জেনারেল ম্যানেজার সেলিম রেজা জানান, বৃষ্টির ফলে আমরা খুব আশান্বিত। চা-গাছগুলো যৌবন ফিরে পেয়েছে। গাছে সবুজ কুঁড়ি বের হতে শুরু করেছে। সবকিছু অনুকুলে থাকলে এবার চা উৎপাদন গত বছরের উৎপাদনকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

চা বোর্ড সুত্র জানায়, ২০১৯ সালে দেশে রেকর্ড চা উৎপাদন হয়েছিল। ওই বছর দেশে সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হয়। দেশের চা শিল্পের ১৬৫ বছরের ইতিহাসে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ ৯ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার কেজি চা উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ।

চা বোর্ড সুত্র আরো জানায়, ২০২০ সালে দেশে চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ওই বছর চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫.৯৪ মিলিয়ন কেজি। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছিল ৮৬.৩৯ মিলিয়ন কেজি। এছাড়া দেশের উত্তর জনপদেও গত বছর রেকর্ড চা উৎপাদন হয়। ওই বছর উত্তরাঞ্চলে উৎপাদন হয় ৯৬ লাখ কেজি চা। 

বাংলাদেশ চা বোর্ড সুত্র জানায়, বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চা শিল্পের উন্নয়নে 'উন্নয়নের পথনকশা: বাংলাদেশ চা শিল্প' নামে মহাপরিকল্পনা প্রনয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে চায়ের উৎপাদন ১৪০ মিলিয়ন কেজিতে উন্নীত করতে কাজ করছে বর্তমান সরকার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads