• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯

প্রথম পৃষ্ঠা

১৩ এপ্রিল জাতিসংঘ চুক্তি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ এপ্রিল ২০১৮

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সঙ্গে আগামী ১৩ এপ্রিল জেনেভায় চুক্তি সই করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এখনো শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও চুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক সংস্থাটি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া শরণার্থী সংস্থার চুক্তির আদলেই এবারের চুক্তি সই হবে। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ও শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংস্থাটির সদর দফতরে এই চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

চুক্তিটি সম্পাদিত হলে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া, অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া, চিকিৎসা ব্যবস্থা, অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর সেখানে (রাখাইন) নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার বিষয়ে সরাসরি কাজ করতে পারবে শরণার্থী সংস্থা। এজন্য একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে সংস্থাটি। এর আগে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ও সংস্থাটির মধ্যে তথ্য সরবরাহ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। এটি স্বাক্ষর হতে যাওয়া চুক্তির সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী নয়, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের অধিবাসী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই চুক্তির ফলে সংস্থাটিকে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য সরবরাহ, কাঠামো তৈরির জন্য জমি ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো অসম্ভব করে তুলেছে মিয়ানমার। সেখানে (রাখাইন) রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার মতো নিরাপদ পরিস্থিতি নেই এবং তারা গণহত্যার শিকার হচ্ছে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেও রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে গণহত্যার শিকার হচ্ছে বলে উল্লেখ করে নিজ দেশে তাদের আশ্রয় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের কোনো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই প্রথম এমন ঘোষণা এলো।

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর চালানো জাতিগত নির্মূল অভিযানে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর একটি সম্মতিপত্রে সই করে দুই দেশ। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের তালিকা দেওয়া হলেও তাদের প্রত্যাবাসনে গড়িমসি করছে মিয়ানমার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। বিভিন্ন শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads