• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

ফাইল ফটো

প্রথম পৃষ্ঠা

নিহত রথীশের ছেলে

‘ক্ষমা করে দিয়ো বাবা’

  • রংপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০১৮

আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক হত্যাকাণ্ডের পর পরিবারটিতে একই সঙ্গে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাবা নিহত ও ‘হত্যাকারী’ হিসেবে মা জেলে থাকায় বিহ্বল হয়ে পড়েছেন দীপ্ত ভৌমিক; তার বোন আবিত্রিও বাকরুদ্ধ। বিধ্বস্ত এ পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন স্বজনরা।

মায়ের পরকীয়ার কারণে বাবাকে খুন হতে হয়েছে— এমন খবরে ক্ষুব্ধ রথীশ-স্নিগ্ধা দম্পতির একমাত্র ছেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ুয়া দীপ্ত ভৌমিক। ৪ এপ্রিল নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তার স্ট্যাটাস ছিল— ‘আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো বাবা...’। তার জন্মদাত্রী মা-ই যে বাবার খুনি— এটা মানতে পারছেন না দীপ্ত। তবে হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের দীপ্ত বলেন, ‘অপরাধী অপরাধীই। সে যে-ই হোক না কেন, আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমি বাবার খুনিদের ফাঁসি চাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার বাবা আইনপেশায় নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। তিনি সব সময় মানুষের সেবা করে গেছেন। কেউ বিপদে পড়লে ছুটে যেতেন। তার কাছে হিন্দু, মুসলিম বা অন্য কোনো ধর্মের ভেদাভেদ ছিল না। সেই মানুষকে নির্মমভাবে খুন হতে হলো। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না।’ বাবার কথামতো আজীবন মানুষের সেবা করে যেতে চান বলে জানান দীপ্ত।

এদিকে আইনজীবী রথীশ চন্দ্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। রথীশকে হত্যার পর দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা ছিল স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক ও তার প্রেমিক কামরুল ইসলামের। এ জন্য তারা সবকিছু গুছিয়েও নিয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে পালিয়ে যাওয়ার সাহস পায়নি তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads