• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
কুড়িগ্রামের ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু' উদ্বোধন কাল

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের 'শেখ হাসিনা ধরলা' সেতুটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি সংরক্ষিত

সরকার

কুড়িগ্রামের ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু' উদ্বোধন কাল

  • বাসস
  • প্রকাশিত ০২ জুন ২০১৮

দেশের উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু' রোববার উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করবেন। এরপর সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করা হবে।

এ উপলক্ষে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সেতুটির পূর্বপাড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। নির্মাণ করা হয়েছে মঞ্চ ও প্যান্ডেল। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কথা বলে সেতুটি উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

কুড়িগ্রাম এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থ ও প্রযুক্তিতে এই গার্ডার সেতুটির নির্মিত হয়েছে। ১৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি উত্তারাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু। এই সেতুটি উত্তর ধরলার তিনটি ইউনিয়নসহ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। সেতুর সুবিধা পাবেন কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ।

এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। সেতুটি নির্মাণ করছে সিমপ্লেক্স এবং নাভানা কনষ্ট্রাকশন গ্রুপ। ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৮০ মিটার চওড়া সেতুটির ১৯টি স্প্যান ও ৯৫টি গার্ডার রয়েছে। দৈর্ঘ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পর এই সেতুর অবস্থান বলে নির্মাণকারী সংস্থা এলজিইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এলজিইডি সূত্রে আরো জানা গেছে, মূল সেতুর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ফুলবাড়ী ও লালমনিরহাট অংশে ২ হাজার ৯১৯ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাবদ ১৩ কোটি ৯ টাকা, ৩ হাজার ৪৮০ মিটার নদী শাসনে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৩ একর।

সেতুটির উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত যুগ্ম সচিব রইচ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads