• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত হয়েছে আড়াই লাখ পরিবার

ভাষানচরে সমন্বিত আশ্রয়কেন্দ্র

ছবি : সংগৃহীত

সরকার

আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত হয়েছে আড়াই লাখ পরিবার

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশের ২ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন এবং জীবিকার ব্যবস্থা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে তিনটি ফেজের মাধ্যমে ওইসব পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন  শনিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসকে বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে তিনটি ফেজের মাধ্যমে সরকার মোট ২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪২ পরিবারকে পুনর্বাসন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি জানান, ২০১০ সালে সরকার দ্বিতীয় ফেজের মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে আশ্রয় প্রদান করেছে। যাতে খরচ হয়েছে ৪ হাজার ৮৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।  এরপর ২০১০ সালের জুলাই এর পর থেকে বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৯ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। একই সময় সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৬৪টি গ্রামকে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় এনেছে। প্রকল্পের আওতায় সাড়ে চার লাখের বেশি গাছের চারাও রোপণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। 

সরকার এই প্রকল্পের আওতায়  ৬০১টি ভিক্ষুক পরিবারসহ গৃহহীন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৫ পরিবারকে গৃহ বরাদ্দ করেছে করেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, গৃহহীনদের জন্য  প্রকল্পের আওতায় গৃহ নির্মাণ চলমান রয়েছে। দারিদ্র বিমোচন ও ভিশন-২০২১ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির সাফল্য অর্জনের জন্যই সরকার এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়  আশ্রয়ণ নামের প্রকল্পে পুনর্বাসনকৃত পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নিজের পায়ে দাঁড়ানো ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সামাজিক মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে কাজ করছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এখন এ পর্যন্ত তিনটি ফেজে মোট ২,৬৪,৪৪২টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয় হয়েছে।  এই প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসিত ভূমিহীন, গৃহহীন, দুর্দশাগ্রস্ত ও ছিন্নমূল পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ভূমির মালিকানা স্বত্বের দলিল/কবুলিয়ত সম্পাদন, রেজিষ্ট্রি ও নামজারী করে দেওয়া হয়। পুনর্বাসিত পরিবার সমূহের জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, মসজিদ নির্মাণ, কবর স্থান, পুকুর ও গবাদি পশু প্রতিপালনের জন্য সাধারণ জমিরও ব্যবস্থা করা হয়। পুনর্বাসিত পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন উৎপাদনমুখী ও আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহারিক ও কারিগরী প্রশিক্ষণ বং প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের  মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads