• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
প্রধানমন্ত্রী এমএনপি সেবার উদ্বোধন করবেন রোববার

এমএনপি সেবা

ছবি : ইন্টারনেট

সরকার

প্রধানমন্ত্রী এমএনপি সেবার উদ্বোধন করবেন রোববার

  • এম. রেজাউল করিম
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৮

নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদল বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ২১ অক্টোবর। এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমএনপি সেবা নেওয়ার সময় নতুন সিম রিপ্লেসমেন্ট কর হিসেবে গ্রাহককে যে ১০০ টাকা দিতে হয় ওই অনুষ্ঠান থেকে তা মওকুফেরও ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি সূত্র।

তবে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত এনবিআর থেকে কর মওকুফের বিষয়ে কোনো চিঠি বিটিআরসিতে যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে কমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। সূত্র আরো জানায়, ইতোমধ্যে কমিশনের চেয়ারম্যান এনবিআরের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগ করেছেন এবং আগামী রোববার উদ্বোধনের আগেই যাতে কমিশনের কাছে এই কর মওকুফের চিঠি হস্তান্তর করা হয় সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এদিকে রোববারই ১০০ টাকা মওকুফের ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশের খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই আমরা এই ঘোষণা পাব। আর সেই লক্ষ্যে আমি কয়েক দফায় এনবিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং নিশ্চিত হয়েছি যে কর মওকুফের লিখিত অনুমোদন ইতোমধ্যেই এনবিআর চেয়ারম্যানের টেবিল পার হয়ে গেছে। এখন সেটা বিটিআরসিতে পৌঁছানোর অপেক্ষায়।’

তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমরা অর্থমন্ত্রীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি কারিগরি কারণেই এখানে সিম রিপ্লেসমেন্ট করা হচ্ছে। তাই এ খাতে আদায় করা কর যেন মওকুফ করা হয়। ওই আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি এ বিষয়ে এনবিআরকে অবগত করেছেন এবং বিটিআরসিকে কারিগরি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গ্রাহকের কাছ থেকে সিম ট্যাক্স হিসেবে নেওয়া ১০০ টাকা মওকুফে অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক। সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ অক্টোবর অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কারিগরি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য একটি চিঠি পাঠানো হয় বিটিআরসিকে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, এমএনপি সেবা গ্রহণের জন্য এর আগে ৩০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হলেও সম্প্রতি এটি বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ১৫ শতাংশ ভ্যাট। অর্থাৎ প্রতিবার অপারেটর বদল করতে একজন গ্রাহককে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা ফি দিতে হতো। অপারেটর বদলের জন্য সিম প্রতিস্থাপন করতে বিটিআরসি নির্ধারিত ১০০ টাকা চার্জ দিতে হলেও এখন থেকে এই অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে না। পুরো কাজটি করার জন্য গ্রাহককে নতুন অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে যেতে হবে বলে জানিয়েছে এমএনপি সেবা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক। উল্লেখ্য, এমএনপি সেবার পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয় গত ১ অক্টোবর।

এদিকে কোনো কোনো অপারেটর ৭ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে গ্রাহকদের। এছাড়া গ্রাহক টানতে ইতোমধ্যেই নানা ধরনের আকর্ষণীয় অফারের ঘোষণা দিয়েছে অপারেটরগুলো। আর প্রথম সপ্তাহের হিসাব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হারিয়েছে গ্রামীণফোন এবং সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পেয়েছে যৌথভাবে রবি-এয়ারটেল। তবে এর মধ্যেও অপারেটর বদলের জন্য অর্ধেকেরও বেশি গ্রাহকের আবেদনই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বলে উঠে এসেছে বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads