• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
শুরুতেই হোঁচট খেল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

সিলেটে অনুমতি মেলেনি

শুরুতেই হোঁচট খেল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

  • রেজাউল করিম লাবলু
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৮

বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজপথে নামতে চেয়েছিল। এর অংশ হিসেবে আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শুরুতেই হোঁচট খেল ঐক্যফ্রন্ট। সমাবেশের জন্য শেষপর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে ফ্রন্ট নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, অনুমতি না পেলেও তারা সিলেটে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। বিভাগীয় সমাবেশ শেষে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন তারা। ঢাকায় মহাসমাবেশের অনুমতি না পাওয়া গেলে ফ্রন্টের নেতারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা কী করবেন।

ঢাকার সমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বাংলাদেশের খবরকে জানান, সরকার সিলেটে সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। ভবিষ্যতে কী করবেন তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে বিভাগীয় শহরে আগে সমাবেশ করতে চান তারা। এরপর ঢাকায় মহাসমাবেশ। কবে নাগাদ ঢাকায় মহাসমাবেশ ও তার ধরন কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই কিছু বলা যাবে না। সময় হলে সবই জানতে পারবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফ্রন্টের এক নেতা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ঢাকায় মহাসমাবেশের অনুমতি না পাওয়া গেলে অসহযোগের মতো কর্মসূচিতে যেতে পারেন তারা। বিশেষ করে ৭ দফা দাবি না মেনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সরকারবিরোধী জোরদার আন্দোলনে যাবেন তারা।

সুব্রত চৌধুরী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বিভাগীয় সমাবেশের পাশাপাশি শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে ৭ দফা দাবি নিয়ে ধারাবাহিক মতবিনিময় করবেন। এভাবে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে তারপর ঢাকায় সমাবেশ করবে ঐক্যফ্রন্ট।

তিনি বলেন, বিভাগীয় সমাবেশের পর ঢাকার সমাবেশের তারিখ ঘোষণা করা হবে। ঢাকায় হবে স্মরণকালের ঐতিহাসিক সমাবেশ।

ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি না দিলে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট কী করবে জানতে চাইলে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি বলেন, ফ্রন্ট গঠনের আগে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দিলেও তাদের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে মহানগর নাট্যমঞ্চে নাগরিক সমাবেশ করেন তারা। তবে আগামীতে ঢাকায় সমাবেশের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। না দিলে তখন সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, সরকারের লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে তারা কোনো ধরনের সমাবেশের অনুমতি দেবে না। তারা জাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৩১ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের না করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ও মহানগর নাট্যমঞ্চে করতে চাইলে সেখানেও পুলিশের অনুমতি লাগবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর সিলেটে বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি শুরু করতে চাইলেও প্রথমেই হোঁচট খেতে চলেছেন ফ্রন্টের নেতারা। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ গতকাল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, সিলেটে সমাবেশের বিষয়ে তারা এখনো পুলিশের অনুমতি পাননি।

তিনি বলেন, গত বুধবার যখন তারা সমাবেশের আবেদন করেছিলেন, তখন কিছু বলা হয়নি। কিন্তু আজ (গতকাল) সকালে কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া তাকে ফোন করে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি বলে জানিয়ে দেন। পাশাপাশি সমাবেশ না করার জন্য তাকে অনুরোধ জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এর আগে গত বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ফ্রন্টের নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করবেন ফ্রন্টের নেতারা। এরপর সেখানে জনসভা করবেন তারা। স্থানীয় নেতারা জনসভার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, এ ছাড়া আগামী ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে ও ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে ফ্রন্টের সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads