• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
 ‘সরকারি বাসায় না থাকলে বাড়িভাড়া বন্ধ’

সংগৃহীত ছবি

সরকার

‘সরকারি বাসায় না থাকলে বাড়িভাড়া বন্ধ’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে সরকারি বাসা বরাদ্দ রয়েছে, তারা সেই বাসায় না থাকলেও তাদের বেতন থেকে তার ভাড়া কেটে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।  বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যাদের নামে সরকারি বাসা বরাদ্দ হবে, তাদেরকে ওই বাসায় থাকতেই হবে। যদি না থাকেন, তাহলে তারা বাসাভাড়া বাবদ যে ভাতা পাওয়ার, সেটা পাবেন না।

তিনি জানান, অনেক বিদ্যালয় বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরকারি কোয়ার্টারে অনেক সময় কর্মকর্তা বা শিক্ষকরা থাকেন না। ফলে এসব দিনের পর দিন খালি থাকছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের না থাকার কারণ হচ্ছে বেতন বেশি হওয়ায় বাড়িভাড়ার ভাতাও বেড়েছে। সরকারি কোয়ার্টারে যে ভাড়া কাটা হয়, তার চেয়ে কম দামে তারা বাইরে ভাড়া বাসায় থাকেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি নির্দেশনার কথা জানিয়ে আসাদুল বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো রেইট শিডিউল বা ক্রয় প্রাক্কলন না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  এলজিইডি, ওয়াপদা ও সড়ক বিভাগ তাদের রেইট শিডিউল পরিবর্তন করেন। অনেকবারই এরকম পরিবর্তন করার কারণে প্রকল্পের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। এমন প্রসঙ্গ তুলে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

সচিব আসাদুল জানান, কোনো প্রকল্পের প্রস্তাব এলে শিডিউল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিকল্পনা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি করে মাস্টারপ্ল্যান করার নির্দেশও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ক্যাম্পাসের যেখানে সেখানে যেন অপরিকল্পিতভাবে ভবন তৈরি না করে বা খেলার মাঠ নষ্ট করে। এজন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটা উপজেলায়ও একটি করে মাস্টারপ্ল্যান করতে বলেন।  কারণ যেহেতু আমরা প্রত্যেকটা উপজেলায় মিনি স্টেডিয়ামসহ অনেক স্থাপনা তৈরি করছি। তাই ওই মাস্টারপ্ল্যানে কোথায় কী হবে, তা যেন সন্নিবেশিত থাকে।

সব এলাকায় যেন প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হয়, বিশেষ করে শিল্প এলাকায় যেন দ্রুত প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads