• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
ময়লা আবর্জনার ভাগাড় জাবি ক্যাম্পাস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

ময়লা আবর্জনার ভাগাড় জাবি ক্যাম্পাস

গাছের অকৃত্রিম ঘ্রাণের জায়গা দখল করেছে ময়লার পচা গন্ধ

  • শাহিনুর রহমান শাহিন, জাবি
  • প্রকাশিত ১৪ অক্টোবর ২০১৮

সবুজের সমারোহের দিক দিয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাস অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়টির যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই অপরূপ ছায়াবীথির মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট। কিন্তু এমন স্নিগ্ধ সুন্দর দৃশ্যপটের মধ্যেই প্রায় সর্বত্র দেখা মিলবে আবর্জনা। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসের যত্রতত্র ফেলা হয়েছে এই আবর্জনা। পরীক্ষা শেষ হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবর্জনা অপসারণে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। ফলে ক্যাম্পাসে মাটি আর গাছের অকৃত্রিম ঘ্রাণের জায়গা দখল করেছে আবর্জনা পচা গন্ধ। আর এতে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তেমনি শিক্ষার পরিবেশও হুমকির মুখে পড়ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ও চত্বরে জমে আছে আবর্জনার স্তূপ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অমর একুশে ভাস্কর্য, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় মসজিদের আশপাশ ও প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন রাস্তার দুই পাশে ছড়িয়ে আছে কাগজ, খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ, ডাবের খোলস, পলিথিন, চিপসের মোড়ক, কোল ড্রিংসের বোতলসহ নানা আবর্জনা। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ফুল গাছেরও হয়েছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

ক্যাম্পাসে আবর্জনার কারণে পা ফেলা যাচ্ছে না বলে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ। ক্যাম্পাসে যত্রতত্র থাকা অবর্জনার স্তূপে দূষিত হওয়া পরিবেশের ফলে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে বলেও তিনি মনে করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মৃধা বেলালও বলেন, চারদিকে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়। অতিদ্রুত ক্যাম্পাসে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষায় আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ভর্তি পরীক্ষার পর পরই এসব ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার কথা ছিল। কিন্তু এখনো কেন করা হয়নি তা জানতে এস্টেট অফিসে তলব করব। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন, বৃষ্টির কারণে ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। রোববার থেকে পরিষ্কারের কাজ চলবে। তবে পুরো ক্যাম্পাস পরিষ্কার করতে কিছুটা সময় লাগবে।

প্রতিষ্ঠানটিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ অক্টোবর। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে আগমন ঘটে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দোকান বসানো হয়েছিল। এই সময় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং বহিরাগতরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকানে খাবার গ্রহণ শেষে খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ, পানির বোতল, প্যাকেটজাত খাবারের মোড়ক যেখানে সেখানে ফেলে যায়, যা ক্রমশ আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। গত দুই দিন ধরে টানা বর্ষণের ফলে এসব আবর্জনা পচে গন্ধ ছড়াচ্ছে। দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে নাক ঢেকে চলতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads