• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

ফাইল ফটো

রাজনীতি

‘ভারত সফরের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ এপ্রিল ২০১৮

আওয়ামী লী‌গের প্রতিনিধিদলের ভারত সফরের সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই ব‌লে জা‌নি‌য়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের ভারত সফর নিয়ে গতকাল শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বেই ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির তিন দিনের সফরে আজ রোববার ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজধানীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিদলটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আমাদের এই সফরের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সফরে শুধু দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে। এটি খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখানে অন্য কোনো কারণ খোঁজার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সফরের পর ইন্ডিকেশন কী- তা বোঝা যায়। ভারত সফর নিয়ে কথা উঠছে কেন- পাল্টা এমন প্রশ্ন রেখে চীন সফরের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক’দিন আগেও তো আমাদের ২০ সদস্যের বেশি প্রতিনিধিদল চীন সফরে গিয়েছিল। চীনকে কি তাহলে আপনারা ছোট করে দেখছেন? আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত অনেক বড়। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তো সমস্যা সমাধান হবে না। আলাপ-আলোচনা করেই সমাধান করতে হবে। আমাদের ভিজিটটা যেহেতু খুব ছোট; তারপরও সব ধরনের চেষ্টা থাকবে, কথা হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই তো তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের একটা প্রভাব আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। বিজেপি এসে আমাদের জন্য ভোট চাইবে না, চাইতেও পারবে না। তারা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে খুব দৌড়াদৌড়ি করে। ইন্ডিয়া এসব করে না। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত ও দেশটির সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাক‌বে না, যা আগেও কখনো ছিল না।

সফরসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২২ তারিখ সকাল ১০টায় আমরা ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করব। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হবে। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও আলোচনা হবে। সফরটি খুব সংক্ষিপ্ত; তবে গুরুত্ববহ। কর্মসূচির মধ্যে আছে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ। বাংলাদেশ হাইকমিশনের নৈশভোজে অংশগ্রহণ। দ্বিতীয় দিন ২৩ তারিখ খুব ব্যস্ততা থাকবে। সকালে লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পার্লামেন্ট অধিবেশন পরিদর্শন। দুপুরে বিজেপি নেতা এমজে আকবরের মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ। বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। পরে বিজেপির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে নৈশ্যভোজ। সফর শেষে ২৪ এপ্রিল ঢাকার উদ্দেশে নয়া দিল্লি ত্যাগ করবে প্রতিনিধি দলটি।

প্রতিনিধিদলে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুস সবুর, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও নির্বাহী সদস্য মো. গোলাম কিবরিয়া রাব্বানী চিনু।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, উনি তো বাম রাজনীতি করে এসেছেন। আল্লাহ‌-খোদার ভয় নেই। আমি এখন এই রুম থেকে অন্য রুমে যাওয়ার পর জীবিত থাকব কি না- সেটাই তো জানি না। আল্লাহ জানেন হায়াৎ-মউতের বিষয়টা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads