• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

কেসিসি নির্বাচন

মর্যাদার লড়াইয়ে খুলনায় প্রধান দুই দল

  • এ কে হিরু, খুলনা
  • প্রকাশিত ০৫ মে ২০১৮

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনকে ‘মর্যাদার লড়াই’ হিসেবে দেখছে প্রধান দুই দল আওয়ামী ও বিএনপি। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে দু’দলই সেমিফাইনাল হিসেবে বিবেচনা করছে। এ নির্বাচনের জয়-পরাজয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে ফাইনাল খেলায় আগামীতে কে যাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়।

বিএনপি খুলনায় মেয়র পদটি ধরে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কেসিসি নির্বাচনকে ‘অস্তিত্বের লড়াই’ হিসেবে নিয়ে দলটির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় দুই ডজন নেতা খুলনায় প্রার্থীর পক্ষে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন। অপরদিকে হারানো মেয়র পদটি ফিরে পেতে অতীত উন্নয়ন ও আগামীর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা। এবারের নির্বাচন দু’দলের জন্য প্রেসটিজ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

নগর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান, নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, এম মশিউর রহমান, আমিরুল ইসলাম আলিম, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, ইকবাল হোসেন, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাম্যবাদী দলের কমরেড সাঈদ আহমেদ, ডিএলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিঙ্কন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামসহ এক ডজনের বেশি কেন্দ্রীয় নেতা বর্তমান খুলনায় অবস্থান করছেন।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার লড়াই, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনা, সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি আন্দোলন এবং খুলনার জনগণের প্রত্যাশা পূরণের রাজনীতিকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মুন্সী মাহবুবুল আলম সোহাগ বলেন, কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক এসএম কামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার, বাকেরগঞ্জ পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতা একেএম মজিবর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাবেক ছাত্রলীগ ফোরামের আহ্বায়ক শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্য নেতারা মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের জন্যে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন।

আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন বলেন, আমরা খুলনার উন্নয়ন নিয়েই জনগণের কাছে যাচ্ছি। এখানকার মানুষ খুলনার উন্নয়ন দেখতে চায়।

খালেক-মঞ্জুর গণসংযোগ : আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক গতকাল শুক্রবার নগরীর দৌলতপুরের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি ভোটারদের বলেন, নগরীর যা কিছু দৃশ্যমান উন্নয়ন, তা আমি দায়িত্বে থাকাকালে (২০০৮-১৩) হয়েছে। নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নগরীর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বুঝে নিতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি মনোনীত ও ২০-দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু গতকাল নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি নগর ভবনের দরজা সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে নাগরিক শাসনভিত্তিক জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে নগরবাসীর সমর্থন ও রায় প্রত্যাশা করেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads