• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে ৩শ’ আসনে প্রার্থী দেবে ইসলামী আন্দোলন

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শুক্রবার মহাসমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে ৩শ’ আসনে প্রার্থী দেবে ইসলামী আন্দোলন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ অক্টোবর ২০১৮

সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩শ’ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। দুর্নীতি, দুঃশাসন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।

সমাবেশে চরমোনাই পীর বলেন, গত ১০ বছরে একটি নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জেতাতে হেন কোনো কাজ নেই যা করেনি সরকার। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন কেউই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেনি। ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে।

এসময় তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়, জাতীয় সংসদ বহাল রেখে কোনো নির্বাচন দেশবাসী মেনে নেবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি অবস্থানে দেশের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’

রেজাউল করীম বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। আবারও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো প্রহসনের একটি নির্বাচন হবে। যে নির্বাচন দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করেছিল, জনগণও ভোটকেন্দ্রে যায়নি, বিনা ভোটে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সুতরাং এই সংসদের কোনো নৈতিক বৈধতা নেই। এই অবৈধ সংসদ বহাল রেখে কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।

সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। ১০ দফা দাবি হচ্ছে-

১. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

২. সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।

৩. বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

8. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্র বাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে।

৫. নির্বাচনে সব দলের জন্যে সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সব সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

৬. দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

৭. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।

৮. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

৯. কোটা সংস্কার অন্দোলন এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে গ্রেফতার ছাত্রদের মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

১০. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল হুদা ফয়েজী, আশরাফ আলী আকন, এ টি এম হেমায়েত উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, খালেদ সাইফুল্লাহ, গাজী আতাউর রহমান, ইমতিয়াজ আলম, আতিকুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads