জনগণের বৃহত্তর ঐক্যে কোনো স্বৈরাচার সরকার টিকবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। গতকাল রোববার বিকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বায়ক এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, আজকে ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে- এ দেশ আমাদের সবার, কোনো ব্যক্তির নয়, কোনো দলের নয়, কোনো পরিবারের নয়। অতীতে যেমন আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রত্যেকবার সফল হয়েছে, এবারো ইনশাল্লাহ সফল হবে। জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরে আসবে। আমি আন্তরিকভাবে আহ্বান করি, জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করুন। নারী-পুরুষ মিলে ১৬ কোটি নাগরিকের ঐক্যের মধ্য দিয়ে সেই শক্তি পাব, যার সামনে কেউ বা কোনো স্বৈরাচার নেই যে আমাদেরকে বঞ্চিত করতে পারবে। আসুন, এই ঐক্যের শক্তি নিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। সংবিধান প্রণেতা কামাল হোসেন গায়েবি মামলা দায়েরের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, হাজার হাজার গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলা-মোকাদ্দমা দেওয়া যাবে না। কাউকে তো মুক্তি দেওয়া হয়নি বরং উল্টো নতুন নতুন মামলা হচ্ছে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। এই পরিবর্তনের জন্য আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছি। আমরা মনে করি, কোনো পরিবর্তন বৈধভাবে আনতে হলে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিকে কেন্দ্র করে আমরা জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে। অলরেডি তো অনেকটা সফল এটা আপনারা লক্ষ করছেন। দেশের মূল্যবান কোনো দাবি আদায় করতে হলে ঐক্যবদ্ধ জনগণের শক্তিতে সেটা আদায় করা যায়। দেশের মানুষ ‘অসহায় বোধ করছে’ বলে এ ব্যাপারে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বানও জানান গণফোরামের সভাপতি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে ভোটের অধিকারের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিকের পরিচালনায় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুর, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী, মোমেনা আহমেদ মম, গণফোরামের আ হ ম শফিক উল্লাহ, মোশতাক আহমেদ, সাইদুর রহমান সাঈদ, রফিকুল ইসলাম প্রতীক, বিকল্পধারার শাহ আহমেদ বাদল, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ন্যাপ ভাসানীর গোলাম মোস্তফা আখন্দ, ভাসানী ফাউন্ডেশনের সিদ্দিকুল ইসলাম, গণ-দলের গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দলের শামসুল আলম চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
