• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

ফাইল ছবি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ব্যবসায়ীদের ই-বাণিজ্যে আগ্রহ বাড়াতে কাজ করছে ই-ক্যাব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০১৮

দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বর্তমান ব্যবসায়ীদের ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-বাণিজ্যে এগিয়ে আসা উচিত বলে করছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। সেই লক্ষ্যেই এবারের ই-কমার্স দিবসের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে বাণিজ্য থেকে ই-বাণিজ্য।

ই-বাণিজ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, দেশে প্রায় ৭০ লাখ নিবন্ধিত ব্যবসায়ী আছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যবসায়ীই জানেন না কীভাবে ই-বাণিজ্যে আসা যায়।

তমাল বলেন, আমরা নতুন উদ্যোক্তাদের স্বাগতম করছি। কিন্তু যারা ট্র্যাডিশনাল ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত তারা কিন্তু ই-বাণিজ্যের বিষয়ে জানে না। আমরা চাই তাদের আরো ডেভেলপ করতে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যস্থলের মতো দেশের ট্র্যাডিশনাল ব্যবসায়ীদেরও ই-কমার্স সেক্টরে নিয়ে আসতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসেছি, কথা বলেছি। তাদের জানিয়েছি, একদম মাঠ পর্যায়ের  ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের যেতে হবে। তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রফেশনাল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে ই-ব্যবসায় কীভাবে জড়িত হতে হয়, কীভাবে এখান থেকে আরো বেশি আয় করা সম্ভব। এতে করে প্রতিবছর অন্তত এক লাখ ব্যবসায়ীকে যেন এই ই-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত করা যায়।

ই-ক্যাবের কার্যক্রম নিয়ে তমাল বলেন, ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন নিয়ে কয়েক বছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছি, যার মধ্যে আমরা দেড় বছরে বাংলাদেশের পোস্ট অফিসের সঙ্গে কাজ করেছি, ঢাকার বাইরে প্রত্যেকটি জেলায় গিয়ে মানুষের কাছে ই-কমার্সকে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছি। আর এগুলো সম্ভব হয়েছে কারণ সরকারের পক্ষ থেকেও আমাদের সাহায্য করা হয়েছিল।

এদিকে ই-কমার্স দিবস এবং ই-কমার্স সপ্তাহ উদযাপন করতে শনিবার আগারগাঁওয়ের আইসিটি বিভাগের বিসিসি অডিটোরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ই-ক্যাব। ই-কমার্স দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ই-কমার্স উন্নয়ন-বিষয়ক নানাবিধ গঠনমূলক দিকনির্দেশনা নিতে এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়ার ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সৈয়দ আলমাস কবীর। এ ছাড়া সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধি, ই-ক্যাবের পরিচালকরা ও ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, আমরা ই-ক্যাবের মাধ্যমে একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সেখানে প্রত্যেকটা ই-কমার্স ব্যবসায়ীকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। তাদের এগিয়ে নিতে যত সাপোর্ট দেওয়া দরকার তা করার চেষ্টা করেছি। তাদের অগ্রগতির জন্য ই-কমার্স ব্যবসায়ের অগ্রগতির কারণে একটা নীতিমালার প্রস্তাবনাও দিয়েছে, যা অচিরেই বাস্তবতায় পরিণত হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে চার বছরের এই সেক্টরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ৩ হাজার ওয়েবসাইট ও ৮ হাজার ফেসবুক পেজ বর্তমানে ই-কমার্সের সঙ্গে জড়িত। দেশের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এই ই-কমার্স খাত থেকে। ভবিষ্যতে দেশের বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা বড় অংশ ই-বাণিজ্যের আওতায় চলে আসবে। সামনের দিনগুলোয় ই-কমার্স খাতের ব্যাপ্তি তৈরি পোশাক খাতকেও ছাড়িয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার উদ্দেশে প্রতিবছরের মতো পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এবারো ‘ই-কমার্স দিবস’ এবং ‘ই-কমার্স সপ্তাহ’ উদযাপন করছে ই-ক্যাব। ই-ক্যাবের ৭২১টি সদস্য কোম্পানিসহ সারা দেশের ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এই সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে অংশগ্রহণ করবে। এই দিবস উপলক্ষে দেশের সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের অফার, ডিসকাউন্ট ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads