• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯

ফুটবল

হেরেও ফাইনালে লিভারপুল

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৪ মে ২০১৮

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে আগেই এক পা দিয়ে রাখে লিভারপুল। ঘরের মাঠে জিতেছিল ৫-২ গোলে। ফিরতি লেগেও দারুণভাবে এগিয়ে থাকে। তবে প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগেও শেষ কয়েক মিনিটে ঝড়ো গতিতে দুটি গোল করে রোমা। এবার ইংলিশ ক্লাবটি হেরে যায় ২-৪ গোলের ব্যবধানে। তবুও শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ সালাহরা। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কোচ জার্গেন ক্লোপ। কারণ দুই লেগ মিলে ৭-৬ গোলে এগিয়ে থেকে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ নিশ্চিত করে তারা।

এ নিয়ে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অষ্টমবারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করল লিভারপুল, যা অন্য যেকোনো ইংলিশ ক্লাবের চেয়ে কমপক্ষে তিনবার বেশি। তবে ২০০৭ সালের পর আর ফাইনাল খেলার সুযোগ পায়নি ২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

আগামী ২৬ মে ইউক্রেনের কিয়েভে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। ১৯৮১ সালের ইউরোপিয়ান কাপের সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনার অপেক্ষায় ইংলিশ ক্লাবটি। সেবার রিয়ালকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।

এদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর নজির স্থাপন করল রোমা। কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে বড় ব্যবধানে হারে। ঘরের মাটিতে বড় জয় তুলে নেয়। অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে সেমিফাইনালের টিকেট পায়। অ্যানফিল্ডে দুই গোল করায় সেমিতেও সেটির পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে। এবারো ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে জয় পায়। তবে সেটি ফাইনালের টিকেট পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।

চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল হজম না করে লিভারপুলকে স্বাগত জানায় ইতালিয়ান ক্লাবটি। ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ৪-৩-৩ ফরম্যাটে একাদশ সাজায়। গোলমেশিন মোহাম্মদ সালাহকেও নজরবন্দি করে। তবে কাজ হয়নি। খেলার ২৫ মিনিটের মধ্যেই দুটি গোল হজম করে তারা।

প্রথম লেগে তিন গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে লিভারপুল। তবুও বুধবার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিকল্প ভাবেনি। ফলে খেলার ৯ মিনিটে তারা লিড পায়। রবার্তো ফিরমিনোর পাস থেকে অসাধারণ এক গোল করেন সাদিও মানে। সেই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগে এক মৌসুমে একই দলের তিন খেলোয়াড়ের গোলে রেকর্ড গড়ে তারা। সালাহ, ফিরমিনো ও মানে এবার মোট ২৯ গোল করেন। এর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে ২৮ গোল করার রেকর্ড গড়েন রিয়াল মাদ্রিদের তিন তারকা গ্যারেথ বেল, করিম বেনজেমা ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

সেনেগালিজ তারকার গোলে এগিয়ে গেলেও আত্মঘাতী গোলে প্রতিপক্ষকে সমতায় ফেরায় রেডরা। খেলার ১৫ মিনিটে লভরেন দলকে বিপদমুক্ত করতে জোরালো শট নেন। জেমস মিলনারের মাথায় লেগে উল্টো জালে জড়িয়ে যায়।

ইংলিশ ক্লাবটির আক্রমণে রোমা শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ফলে ২৫ মিনিটে আবার পিছিয়ে যায়। লিভারপুলের হয়ে এই গোলটি করেন বিজনালদুম। কর্নার থেকে আসা বল রোমা সরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। সুযোগ পেয়ে সেটি হেড করে জালে জড়িয়ে দেন এ ডাচ ফুটবলার। এর ফলে দুই লেগ মিলে ৩-৭ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইতালিয়ান ক্লাবটি। সেই সঙ্গে তাদের অ্যাওয়ে গোলের সুবিধাটাও শেষ হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকরা দুর্দান্তভাবে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৬০ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণে রাখে। মোট ২১টি শট নেয়। এর মধ্যে লক্ষ্যেই শট নেয় ৬টি। সেখানে লিভারপুলের মোট শট ছয়টি। লক্ষ্যে পাঁচটি। প্রথমার্ধে এক গোলও করতে না পারা রোমা দ্বিতীয়ার্ধে করে তিনটি গোল।

খেলার ৫৩ মিনিটে ইডেন জেকো রোমাকে সমতায় ফেরান। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে লিড এনে দেন নাইনগোলান। ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি থেকে তিনি জোড়া গোল পূর্ণ করেন। সঙ্গে রোমাও ৪-২ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু মাত্র একটি গোলের অভাবে সেমি থেকে বিদায় নেয় তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads