• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
নেইমারের হ্যাটট্রিকে পিএসজির জয়

হ্যাট্রিকের পর নেইমারের উল্লাস

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

নেইমারের হ্যাটট্রিকে পিএসজির জয়

লিভারপুল হারল ন্যাপোলির কাছে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৫ অক্টোবর ২০১৮

সবশেষ লিগ ম্যাচে নিসের বিপক্ষে জোড়া গোল উপহার দিয়েছিলেন নেইমার। এবার ইউরোপ সেরার যুদ্ধে ক্রভেনা জভেদজার বিপক্ষে আলো ছড়িয়ে গড়লেন হ্যাটট্রিক। সুবাদে চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) প্রথমবারের মতো জয় উপহার দিলেন ব্রাজিলিয়ান এ সুপারস্টার। কেননা, আসরের প্রথম ম্যাচে লিভারপুলের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পিএসজি। তারকা স্ট্রাইকার নেইমারের ফুটবল ঝলকে রেডস্টার বেলগ্রেডকে রীতিমতো ৬-১ গোলে উড়িয়ে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে প্যারিসের এই জায়ান্ট ক্লাব। সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে ব্রাজিলিয়ান হিসেবে সর্বোচ্চ ৩০ গোল করার কাকার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন নেইমার। পিএসজির গোলবন্যার দিনে গোলের দেখা পেয়েছেন এডিনসন কাভানি ও কিলিয়ান এমবাপে। বাদ পড়েননি ডি মারিয়াও। কিন্তু আগের ম্যাচে যাদের কাছে হার মেনেছিল পিএসজি, প্রিমিয়ার লিগে এখনো হার না মানা সেই লিভারপুল শেষ মিনিটে লোরেনজো ইনসিগনের নাকটীয় গোলে ১-০ ব্যবধানে ধরাশায়ী হয়েছে ন্যাপোলির কাছে।

পার্ক দেস প্রিন্সেসের একপেশে ম্যাচে এগিয়ে যেতে খানিকটা সময় নেয় পিএসজি। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি স্বাগতিকদের। নিয়মিত গোল দিয়ে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে দুর্বল সার্বিয়ান প্রতিপক্ষকে। ম্যাচে ২০ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেইমারের নেওয়া ক্ষিপ্রগতির ফ্রি-কিক গোলপোস্টের বাঁ পাশের কোনা দিয়ে জালে আশ্রয় নিলে উচ্ছ্বাস নেমে আসে পার্ক দেস প্রিন্সেসে। মিনিট দুয়েক বাদেই নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন সেলেসাও গোলমেশিন নেইমার। এডিনসন কাভানির স্ট্রাইক দিক বদল করলে গোল ব্যবধান ৩-০ হয়ে যায়। টমাস মুনিয়েরের ক্রসকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ফ্লিক করলে বিরতিতে যাওয়ার আগেই চার গোল পেয়ে যায় পিএসজি।

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শুরুর একাদশে ফেরেন মার্কো ভেরাত্তি। পিএসজিও ফিরে পায় তাদের পূর্ণশক্তি। সুবাদে আগুনে পারফরম্যান্স দিতে থাকে এনসিএম (নেইমার-কাভানি-এমবাপে) ত্রয়ী আক্রমণভাগ। অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের কাছে ৩-২ গোলে হারের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর এবার জয়ের ধারায় ফিরল ফরাসি লিগ ওয়ানের অজেয় কোচ টমাস টাচেলের দল। লজ্জা থেকে রেহাই পেতে রেডস্টার কোচ ভ্লাদান মিলোজেভিচ দ্বিতীয়ার্ধে কৌশলে পরিবর্তন আনেন। কিন্তু তারপরও বিরতির পর একই রকম দুর্দান্ত খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। সফরকারী দলের গোলরক্ষক মিলান বোরজান দুরন্ত প্রচেষ্টায় পরপর কয়েকটা শট ফিরিয়ে দেন।

পিএসজির হয়ে ৫০তম ম্যাচে খেলার স্মৃতিটা রাঙিয়ে নিলেন কিলিয়ান এমবাপে। শুভক্ষণে ক্লাবকে উপহার দেন ব্যক্তিগত ২৭তম গোল। চার মিনিট বাদে শক্তিশালী ড্রাইভে সার্বিয়ান ক্লাবকে সান্ত্বনার একটি গোল এনে দেন জার্মানির মার্কো মারিন। ম্যাচের শেষ দিকে ফের চোখধাঁধানো ফ্রি-কিক থেকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন নেইমার, শেষ বাঁশি বাজার ৯ মিনিট আগে। চ্যাম্পিয়নস লিগে নেইমারের এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। প্রথম হ্যাটট্রিক করেন বার্সার হয়ে ঘরের মাঠে ৬-১ গোলে জয়ের ম্যাচে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সেল্টিকের বিপক্ষে। তাই ম্যাচ শেষে নেইমারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ফুটবলগুরু টাচেল, ‘পুরো দল যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তা সত্যিই আমার মন ছুঁয়ে গেছে। কিন্তু নেইমার ছিল সেনসেশনাল। আপনারা জানেন সে প্রতি ম্যাচেই ক্ষুধার্ত থাকে। গড়ে দিতে চায় ব্যবধান। জিততে চায় বল দখলের লড়াইয়ে। হতে চায় খেলার মধ্যমণি। ইউরোপের অন্যতম সেরা ফুটবলার সে। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

অন্যান্য ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৩-০ গোলে মোনাকোকে, পোর্তো ১-০ গোলে গালাতাসারেকে, ইন্টার মিলান ২-১ গোলে পিএসভি আইন্দহোভেনকে, আটলেটিকো মাদ্রিদ ৩-১ গোলে ক্লাব ব্রাগকে এবং শালকে জিরোফোর ১-০ গোলে লোকোমোটিভ মস্কোকে হারিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads