ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১৭

ছবি : বাংলাদেশের খবর
ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের চালানো বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতি সংহতি সমাবেশ এবং শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত "বর্বর ইসরাইল কর্তৃক গাজায় নির্বিচারে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমবেদনা" সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক সমিতির সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, মাসের পর মাস বর্বরোচিত গণহত্যা চলছে। কিন্তু সারা বিশ্বে এই গণহত্যার কোনো কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে উঠছে না। দেরিতে হলেও আমরা এর প্রতিবাদে দাঁড়িয়েছি। আমরা এখান থেকে কিছুই করতে পারছি না। আমাদের দোয়া যদি মহান আল্লাহ কবুল করেন তাহলে হয়ত তাদের দুর্দশার সমাপ্তি হবে। তিনি বলেন, গাজাবাসীর জন্য আমরা যদি কিছু করতে চাই, তাহলে ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করে এবং গাজাবাসীর জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতে পারি।
সমাবেশে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে সংহতি সমাবেশ করেছি। আমাদের সরকারের প্রতি আহ্বান, বাংলাদেশ থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করতে হবে। আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করতে হবে ইসায়েলি সকল পণ্য বর্জন করবো। আমেরিকা আমাদের বন্ধু নয়। ইসরায়েলি গণহত্যায় মদতদাতাদের অন্যতম এই আমেরিকা।
সংহতি সমাবেশের কিছুসময় পর জোহর নামাজ শেষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একত্রে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে এ মিছিল রায়সাহেব বাজার ও বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমাদের এখন বক্তব্য দেওয়ার সময় নয়। আমরা অনেক সমবেদনা, একাত্মতা দেখেছি। আমাদের এখন অ্যাকশনে চলে যেতে হবে। গাজায় গণহত্যা হচ্ছে কিন্তু মুসলিম বিশ্ব নিশ্চুপ। আমরা মুসলিমদের একত্রিত হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার দূতাবাস ঘেরাও করে লাভ নেই। আমাদের মুসলিম দেশগুলোকে জাগাতে হবে। ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, মিশরকে জাগাতে হবে। এখন পর্যন্ত ইনটেরিম সরকারকে কোনো বিবৃতি দিতে দেখলাম না। এখন ফিলিস্তিনের ওপর হামলা হত্যা চলছে, কিছুদিন পর দেখবেন আপনাদের উপর হামলা হবে। এরপর সৌদি, মিশরও পার পাবে না।’
জবি শাখা ছাত্র শিবির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘মুসলিম বিশ্ব আজ নিজেদের মাঝে বিভেদ নিয়ে ব্যস্ত আছে। আমাদের ভাইয়েরা বোনেরা আজ মারা যাচ্ছে কিন্তু আমাদের মুসলমানরা বদর আর উহুদের শিক্ষাকে ভুলে যাওয়ার কারণে কিছুই করতে পারছে না। বাংলাদেশসহ সব মুসলিম দেশকে শক্তিশালী হতে হবে। আমাদেরকে আত্মনির্ভর হতে হবে। এমন অবস্থানে যেতে হবে যাতে আমরা আর কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে না হয়-চাই সেটা অস্ত্র হোক বা কোনো পণ্য।’
জেএন/এমআই