বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
পুশইনকে চাপের অস্ত্র বানাল বিএসএফ

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০৯:২৮

বাংলাদেশের খবর
অচল প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র তালা ঝুলছে নগর ভবনে
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়া বাতিলের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়। মেয়র পদ নিয়ে বিক্ষোভের জেরে ১০ দিন ধরে বন্ধ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নাগরিক সেবা। নগর ভবনের মূল প্রবেশপথে এখনো তালা ঝুলছে। অন্য কার্যালয়গুলোতেও সেবা কার্যক্রম বন্ধ।
সচিবালয়ের ভেতরে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-মিছিল করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তাঁরা 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর অনুমোদিত খসড়াটিকে 'নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন' আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন। ১০টা নাগাদ বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীতে পূর্ণ হয়ে যায় সচিবালয়ের এ চত্বর। ১০টার কিছু পর বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মো. নূরুল সেবাপ্রার্থীরা জানেন না কবে খুলবে নগর ভবন ইসলাম ও মহাসচিব মো. মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিছিল শুরু হয়।
এরপর সেখানে যোগ দেন সভাপতি বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত পরিষদের অপর অংশ। আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যান্য সংগঠন যোগ দেয় মিছিলে।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'-এর খসড়া
যুগান্তর
বল এখন সরকারের কোর্টে
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, চলমান সংকট থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে এখন আর তেমন কিছু নেই। আলোচনা ও দাবিদাওয়া পেশ শেষ। এখন সরকার অর্থাৎ প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য শুনতেই অধীর অপেক্ষায় পুরো জাতি।
এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসাবে সৃষ্ট পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমন মন্তব্য করে বলেন, সত্যি কথা বলতে কি বল এখন সরকারের কোর্টে। সরকারকেই জনআকাঙ্ক্ষার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সমাধান দিতে হবে।
তারা বলেন, পক্ষে - বিপক্ষে যত মত ও যুক্তি থাকুক না কেন রাগ, বিরাগ ও আবেগের ঊর্ধ্বে উঠে সবার আগে দেশের স্থিতিশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে সরকারকে জবাব দিতে হবে।
তারা মনে করেন, এ বিষয়ে সরকারের অবস্থানের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এক কথায় বলা যায়, গণঅভ্যুত্থানের ১০ মাসের মাথায় সরকারের জন্য সময়টি বেশ কঠিন এবং চ্যালেঞ্জের বিষয়। এমন পরিস্থিতির জন্য কে কতটুকু দায়ী সেদিকে বিতর্ক উসকে না দিয়ে যে কোনো মূল্যে জুলাই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতে ফ্যাসিবাদ যাতে পুনরায় ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে।
একই সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছাতে সব পক্ষকে কম-বেশি ছাড় দিতে হবে।
সমকাল
রাজনীতিতে কমেছে উত্তেজনা, কাটেনি অনিশ্চয়তা
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পদত্যাগের আলোচনার পর দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমলেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে রয়েছে। গতকাল রোববারও প্রধান উপদেষ্টা বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সরকার সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বললেও ভোটের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা না করায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পথনকশার (রোডম্যাপ) দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে আরও জোরালো অবস্থান নিয়েছে। বিচার-সংস্কার-নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ চাওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দাবিনামাও দীর্ঘ হয়েছে। শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বা সরকার পদত্যাগ করবে না – এমন মত দিয়ে সরকারের কাজের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কঠোর হওয়ার বার্তা আসে। একই দিন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
সবার কথা শুনলেও কোনো দলের দাবি পূরণের বিষয়ে বৈঠকে কিছুই বলেননি ড. ইউনূস। বিএনপি স্পষ্ট করে জানায়, তারা 'নিরপেক্ষতা হারানো' উপদেষ্টাদের পদত্যাগ চাইলেও সরকারের পতন চায় না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেছেন, "বৈঠকের ফলে উত্তেজনা কমলেও অনিশ্চয়তা দূর হয়নি, বরং বেড়েছে। খুব স্পষ্ট করে বললে, এই মুহূর্তে তিন শক্তি হলো – সরকার, সেনাবাহিনী এবং বিএনপি। এদের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি না হলে অনিশ্চয়তা কাটবে না।" তিনি বলেন, বিএনপি যে উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছে, সেই আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে রেখে সরকার কঠোর হওয়ার বার্তাই দিয়েছে।
শিগগির নির্বাচনী রোডম্যাপ না পেলে বিএনপিও যে কঠোর অবস্থানে যাবে, তেমন আভাস তারাও দিচ্ছে। তিন শক্তি কঠোর অবস্থানে থাকলে অনিশ্চয়তা কাটবে না। তাই স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন মি. রহমান।
কালের কণ্ঠ
দাবি বিক্ষোভে অচলাবস্থা
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশের কিছু ধারাকে 'নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন' আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গতকাল রোববার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সচিবালয়ের নন - ক্যাডার কর্মকর্তা - কর্মচারীদের সংগঠন 'বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা - কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ'। শত শত কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে নিচে নেমে মিছিলে যোগ দেন। বিপুলসংখ্যক কর্মচারীর উপস্থিতিতে মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হয় 'অবৈধ কালো আইন মানব না'।
মিছিল সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন ভবন প্রদক্ষিণ করে। এ সময় সচিবালয়ের সব প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। সমাবেশ থেকে সচিবালয় কর্মকর্তা - কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা ঘোষণা দেন, অধ্যাদেশটি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। আজ সোমবার ফের সমাবেশ ডেকেছে সংগঠনটি।
এদিকে সংযুক্ত পরিষদের কর্মসূচির প্রতি মৌন সমর্থন দিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। অধ্যাদেশের অনুমোদিত কপি পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অধ্যাদেশের কপি পাওয়ার পরই বৈঠক করে আমাদের অবস্থান জানাব।
মানবজমিন
জুলাই আন্দোলনে আহত চারজনের বিষপান
মানবজিমনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলনে আহত, চোখে আঘাতপ্রাপ্ত চারজন বিষপান করেছেন।
সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না অভিযোগ করে তারা বিষপান করেন বলে অন্য আহতরা জানিয়েছেন। বর্তমানে তারা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি থাকা এই চারজন হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষেই বিষপান করেন বলে জানা গেছে। হাসপাতাল পরিচালক জানিয়েছেন, বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই আহতরা বিষপান করেছেন বলে তিনি মনে করেন। হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবরে বলা হয়েছে, রোববার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে একটি বৈঠক চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
বিষপানকারী চারজন হলেন শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন। পরে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জানা গেছে, জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করার সময় ওই চারজন দাবি নিয়ে তার কক্ষে যান। ফাউন্ডেশনের সিইও তাদের অপেক্ষা করতে বললে ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানেই বিষপান করেন তারা। তাদের মধ্যে একজন একমাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে এসেছেন। বাকি তিনজন দু'দিন আগে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
নয়া দিগন্ত
পুশইনকে চাপের অস্ত্র বানাল বিএসএফ
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশইনের ঘটনা থামছে না। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো সীমান্ত দিয়ে ঘটছে পুশইন। এটিকে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টির হাতিয়ারে পরিণত করেছে ভারত।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৪ মে) রাত থেকে গতকাল রোববার ভোরের মধ্যে মৌলভীবাজার, সিলেট ও মেহেরপুর জেলার সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ সর্বমোট ১৭২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে। পরে সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করেছেন।
গতকাল ভোর রাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের দু'টি পয়েন্ট দিয়ে বিএসএফ একযোগে ১২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করেন। আটকরা বাংলাদেশী নাগরিক বলে বিজিবি নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে বড়লেখা সীমান্তের বিভিন্ন রুট দিয়ে ভারত থেকে অনুপ্রবেশকালে মোট ২৪০ জনকে আটক করল বিজিবি।
সিলেটের বিয়ানীবাজার সীমান্ত দিয়েও পুশইনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ৩২ জনকে বিএসএফ সীমান্ত অতিক্রম করিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বণিক বার্তা
৩ থেকে এখন ৬ শতাংশের কাছাকাছি ব্যাংক স্প্রেড
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সুদহার বাজারভিত্তিক করার পর থেকেই দেশে ব্যাংক খাতের স্প্রেড ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চেও গড় স্প্রেড ছিল ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ধারাবাহিকভাবে বেড়ে এখন ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশে ঠেকেছে। আর কিছু ব্যাংকের স্প্রেড ছুঁয়েছে ১০ শতাংশে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তা ৪ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
গ্রাহকদের জমা রাখা আমানত থেকে ঋণ বিতরণ করে ব্যাংক। আমানতের বিপরীতে নির্দিষ্ট হারে গ্রাহকদের সুদ পরিশোধ করা হয়, যা ব্যাংকের ‘কস্ট অব ফান্ড’ বা ‘তহবিল সংগ্রহ ব্যয়’ নামে পরিচিত। আবার ঋণের বিপরীতে গ্রাহকদের কাছ থেকে সুদ আদায় করা হয়। ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধানই হলো ‘স্প্রেড’। যে ব্যাংকের স্প্রেড যত বেশি, ওই ব্যাংকের মুনাফার সম্ভাবনাও তত বেশি। বর্তমানে ব্যাংকগুলো আমানতকারীদের যে হারে সুদ দিচ্ছে, ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে নিচ্ছে তার চেয়েও অনেক বেশি হারে। ফলে আমানত ও ঋণের মধ্যকার সুদহারের ব্যবধান বা স্প্রেড ক্রমেই বাড়ছে। এতে ব্যাংক উপকৃত হলেও গ্রাহকরা বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশের ব্যাংক খাতের বিদ্যমান গড় স্প্রেড গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ২০২০ সালের এপ্রিলে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশে বেঁধে দিয়েছিল সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরই স্প্রেড কমতে শুরু করে। ২০২০ সালের মার্চে ব্যাংক খাতের গড় স্প্রেড ছিল ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। সুদহার বেঁধে দেয়ায় পরের বছরের একই সময়ে এসে তা ৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে নেমে আসে। ২০২২ সালের মার্চে এসে গড় স্প্রেড দাঁড়ায় ৩ দশমিক ১০ শতাংশে। আর ২০২৩ সালের মার্চে আরো কমে ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান ২ দশমিক ৯৬ শতাংশে নেমে যায়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঋণের সুদহারের সীমা তুলে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ আমলে নিয়ে ওই সময় সুদহার নির্ধারণে ‘মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল’ (স্মার্ট) চালু করা হয়। সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা তুলে নেয়ার প্রভাবে ওই বছর থেকেই ঋণের সুদহার বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে বাড়তে শুরু করে স্প্রেডও। মাত্র এক বছরের মাথায় ২ দশমিক ৯৬ থেকে বেড়ে ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান ৫ দশমিক ১৯ শতাংশে গিয়ে ঠেকে। এরপর ২০২৪ সালের ৮ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সুদহার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সিদ্ধান্তের পর চলতি বছরের মার্চে এসে স্প্রেড ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
প্রথম আলো
জুলাই হত্যাকাণ্ডে এক মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চাঁনখার পুল এলাকায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করলে তা আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্য দিয়ে জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথম কোনো মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলো।
এত দিন এটি 'মিস কেস' বা বিবিধ মামলা হিসেবে পরিচালিত হয়েছে। গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর তা ট্রাইব্যুনালে মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
- এটিআর