• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
গ্রিসে দাবানলে ৬০ জনের মৃত্যু

গ্রিসে ভয়াবহ দাবানালে মৃতের সংখ্যা বড়ছে

ছবি : ইন্টারনেট

ইউরোপ

গ্রিসে দাবানলে ৬০ জনের মৃত্যু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০১৮

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলে এ পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১৬ শিশুসহ শতাধিক মানুষ। আহতদের ১১ জনের অবস্থা গুরুতর। খবর বিবিসি ও এবিসি নিউজ।

রেড ক্রস জানিয়েছে, দাবানলের কেন্দ্রস্থলের সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী মাতি গ্রামের একটি এলাকা থেকেই ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি উদ্ধারকর্মীরা নৌকা ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দাবানলে আটকে পড়া লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে। দাবানল থেকে বাঁচতে লোকজন নৌকায় সমুদ্রপথে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে দেশটির সরকার। দমকলকর্মীরাও পরিস্থিতিকে ভয়াবহ জটিল হিসেবে অভিহিত করেছেন। দাবানল থেকে বাঁচতে নৌকায় করে পালিয়ে যাওয়া ১০ পর্যটককে খুঁজতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বসনিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সি সিপারাস। তিনি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে মানুষের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, তার সবই করব আমরা। গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রিস জানাকাপৌলোস দাবানলে ২০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরবর্তীকালে এই সংখ্যা আরো বেড়েছে। কোস্টগার্ড সমুদ্র থেকে আরো চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে জরুরি বিভাগের সব কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান সিপারাস। এথেন্সের আশপাশের অ্যাটিকা অঞ্চলেও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে হেলিকপ্টার ও অতিরিক্ত দমকলকর্মী চাওয়া হয়েছে। এতে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যে ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ড ও ফ্রান্স কপ্টার, যানবাহন ও দমকলকর্মী পাঠিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবানলের কারণে ধসে পড়া ভবন, কমলা ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া আকাশ এবং গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়া মানুষের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর লোকজন আগুন থেকে সমুদ্রের দিকে ছুটছে। মাতি গ্রামের কোস্তাস ল্যাগোনাস বলেন, আমাদের ভাগ্য যে পাশেই সমুদ্র ছিল। সেখানে যাওয়ায় আমরা এখনো বেঁচে আছি। আমি যখন সমুদ্রের দিকে দৌড়াচ্ছিলাম তখন পেছনের সবকিছু পুড়ে গেছে। পানি দেখেই তাতে আমি ঝাঁপিয়ে পড়ি।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালেও এ ধরনের ভয়াবহ দাবানলের কবলে পড়েছিল দেশটি। সেবার দক্ষিণাঞ্চলীয় পেলোপোনেস উপদ্বীপের কয়েক ডজন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল দাবানল। কিন্তু এবারের দাবানল আরো ভয়াবহ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads