-67cd8398810bc.jpg)
রমজান হলো আত্মশুদ্ধির মাস, যেখানে একজন মুমিন তার হৃদয়কে তাকওয়ার আলোয় আলোকিত করে। রোজা শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকা নয়; বরং আত্মসংযম ও আল্লাহভীতি অর্জনের শ্রেষ্ঠ মাস। আল্লাহ তায়ালা রোজা পালন ফরজ করেছেন এবং রোজাদারদের জন্য অফুরন্ত সওয়াব রেখেছেন।
রোজাদারদের জন্য রয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অফুরন্ত সওয়াব দেওয়া হবে। রোজাদারদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব।’ (মুসলিম ২৭৬০)।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কাছে রমজান উপস্থিত হয়েছে। রমজান এক বরকতময় মাস। আল্লাহ তোমাদের ওপর এ মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ করেছেন। এ মাসে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ মাসে অবাধ্য শয়তানদের শিকলবদ্ধ করা হয়। এ মাসে আল্লাহ এমন একটি রাত রেখেছেন, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত।’ (নাসায়ি ২১০৬)।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য একটি হাদিসে বলেন, ‘মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কেননা রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব।’ (মুসলিম : ১৫৫১)।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি রোজাবস্থায় বাজে কথা ও কাজ ত্যাগ করল না, তার পানাহার ত্যাগ নিছক উপবাস ছাড়া আর কিছু নয়।’ (বোখারি ১৮০৪)। রোজাদারদের অপরিহার্য কর্তব্য হলো, শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকা নয়; বরং সব ধরনের অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের পূর্ণ ফায়দা অর্জন করার তাওফিক দান করুন এবং আমাদের হৃদয়ে তাকওয়ার আলো প্রজ্বলিত করুন।
- বাংলাদেশের খবরের ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠান এই মেইলে- bkislamic247@gmail.com
লেখকের মেইল : sekhtanvir02@gmail.com
বিএইচ/