• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত হকিতে

এশিয়ান গেমসে ১৯৭৮ সালে প্রথম অংশ নিয়েই ষষ্ঠ হয়েছিল বাংলাদেশ

সংগৃহীত ছবি

হকি

ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত হকিতে

  • প্রকাশিত ২৭ আগস্ট ২০১৮

কবিরুল ইসলাম, ইন্দোনেশিয়া থেকে

এশিয়ান গেমস হকি ইভেন্টে ষষ্ঠ কিংবা পঞ্চম হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই ইন্দোনেশিয়া এসেছিল বাংলাদেশ দল। গতকাল থাইল্যান্ডকে পরাস্ত করার মধ্য দিয়ে সে টার্গেট পূরণ হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলার দামাল ছেলেরা। আর পঞ্চম স্থানের জন্য লড়াইয়ে নামবে ১ সেপ্টেম্বর। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। ওই ম্যাচে হারলেও ষষ্ঠ স্থানটি নিশ্চিতই থাকবে গোবিনাথনের শিষ্যদের। এ জয়ের মধ্য দিয়ে এশিয়া কাপ ও এশিয়ান গেমসের আগামী আসরের বাছাইপর্ব খেলতে হবে না লাল-সবুজদের। প্রায় বিশ বছর পর আসা সুযোগটি দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন জিমি-চয়নরা। জিবিকে হকি গ্রাউন্ডে বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ৩-১ গোলের জয় পায় ফরহাদ আহম্মেদ শিটুল বাহিনী। বাংলাদেশের হয়ে আশরাফুল জোড়া গোল করেন। অপর গোলটি আসে মিঠপনা স্টিক থেকে। থাইল্যান্ডের হয়ে হারাপান ব্যবধান ঘোচানো একমাত্র গোলটি করেন।

এশিয়ান গেমসে ১৯৭৮ সালে প্রথম অংশ নিয়েই ষষ্ঠ হয়েছিল বাংলাদেশ হকি দল। এরপর আর উপরের দিকে আসা হয়নি। দিন দিন অবনমনই হয়েছে হকিতে। সবশেষ দুটি আসরে (২০১০ ও ২০১৪ সালে) অষ্টম হয়েই দেশে ফিরতে হয়েছিল। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ছয়ের দেখা পেলেন আশরাফুল-জিমি-চয়নরা। এটি চয়নের শেষ এশিয়ান গেমস বিধায় দিনটিকে স্মৃতির পাতায়ই রাখতে চাইলেন- ‘চারটি এশিয়ান গেমসে খেলছি। আগের তিনটিতে কোনো সাফল্য নেই। তাই এটিকে আমার জীবনের সেরা গেমস বললে অত্যুক্তি হবে না। এটি আমার একার কৃতিত্ব নয়। দলীয় সাফল্য। আমি দলের একটা অংশ। সবারই চেষ্টা ছিল ম্যাচ জয়ের। ২০ বছর পর এমন সুযোগ কেউ নষ্ট করতে চাইনি বলে জান-প্রাণ বাজি রেখে খেলেছি।’

ম্যাচে দুই গোল করা উদীয়মান পিসি মাস্টার আশরাফুল জানান, ‘আমাদের চেয়ে থাইল্যান্ড অনেক বেশি উন্নতি করেছে। যে থাইল্যান্ডকে বলে-কয়ে হারাতাম আমরা, সেই দলটির বিপক্ষে প্রথম ৩০ মিনিট গোলশূন্য ছিলাম। কিছুটা হতাশা তৈরি হলেও আমরা মানসিকভাবে জেতার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। দলের জয়ে সবাই খুশি। আগে থেকেই আমাদের বোঝাপড়া ছিল।’

নিজেদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে কাল প্রথম দুই কোয়ার্টারে কোনো গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। অবশেষে তৃতীয় কোয়ার্টারে আসে সফলতা। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচের ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ শিবিরে হাসি ফুটিয়ে তোলেন আশরাফুল। প্রথম পিসিটাই কাজে লাগান এ পিসি মাস্টার। জিমি-সারোয়ার কম্বিনেশনে আশরাফুলের দারুণ ড্রাগ অ্যান্ড ফ্লিকে গোলের দেখা পায় লাল-সবুজরা (১-০)। ঠিক ছয় মিনিট পরই গোলের গ্রাফটা আরো একধাপ উপরে নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে প্র্রশান্তি নিয়ে আসেন সেই আশরাফুল। একই কম্বিনেশনে দ্বিতীয় পিসি থেকে গোল করে থাইল্যান্ডকে চাপের মুখে ফেলে দেন তরুণ এ ফরোয়ার্ড (২-০)। শেষ কোয়ার্টারের ৩ মিনিটে একটি গোল শোধ দেন থাইল্যান্ডের হারাপান বুরিরাক (২-১)। ৫৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে আশরাফুল-মিমোর আদান-প্রদানে বল পেয়ে যান মিলন হোসেন। থাইল্যান্ডের গোলকিপার শুয়ে পড়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলে বল পাওয়ামাত্র বিচক্ষণ জিমি কিপারের ওপর দিয়ে বল পাঠান জালে (৩-১)। এরপর আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন গোবিনাথনের শিষ্যরা।

ম্যাচ শেষে তৃপ্তির ঢেঁকুর গেলা কোচ গোবিনাথন বলেন, ‘থাইল্যান্ড যে এত উন্নতি করেছে তা বুঝতে পারিনি। ছেলেরা জয় পেয়েছে তাতে আমি খুশি। কিন্তু মাঠের খেলায় সন্তুষ্ট হতে পারিনি। মূলত বাংলাদেশের দরকার দীর্ঘমেয়াদে প্রশিক্ষণ। তোমাদের প্রতিভা আছে, বিকশিত হতে সময়ের প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads