• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
 গুজারাট ফরেনসিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের অতিথিদের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

ছবি : ইন্টারনেট

ভারত

গুজারাট ফরেনসিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ আগস্ট ২০১৮

গুজারাট ফরেনসিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। গত ২৩ আগস্ট ২০১৮ সালের অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লীতে অবস্থিত ১৯ টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিবিদগণ এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিবিদদের শুভেচ্ছা জানান।

গুজারাট ফরেনসিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের একমাত্র ফরেনসিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ সরকারের সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে যার আওতায় প্রতি বছর বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যগণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় বাংলাদেশের প্রায় ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা এখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাতে ফরেনসিক সায়েন্স বিষয়ে দু দেশের সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণের জন্যে সম্ভাব্য পদক্ষেপসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি এ সময়, ক্রমবর্ধমান সাইবার সন্ত্রাস মোকাবেলায় ফরেনসিক সায়েন্স দক্ষতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সমাবর্তনে যোগদান শেষে পরদিন হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীভাদোদরায় (প্রাক্তনবরোদা) মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। তিনি এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজমাতা শুভাঙ্গিনি রাজে গায়কোয়াড় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক পরিমল ভিয়াস এর সাথে সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বাংলাদেশ সহযোগিতার কাঠামো আরো সম্প্রসারনের উপর জোর দেন এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ পরিদর্শন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী তৎকালীন রাজা এবং আচার্য মহারাজা সায়াজিরাও গায়কোয়াড়ের আমন্ত্রণে ১৯৩৬-১৯৪৪ সময় পর্যন্ত ৮ বছর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামুলক ধর্মতত্ব বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads