Logo

আন্তর্জাতিক

দ্য গার্ডিয়ান

লন্ডনে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১২:৫৯

লন্ডনে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তির নামে লন্ডনে থাকা প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।

শুক্রবার (২৩ মে) প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আলোচিত ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান এবং তার চাচাতো ভাই আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে থাকা দুটি সম্পত্তি জব্দের আদেশ পেয়েছে এনসিএ।

এনসিএ নিশ্চিত করেছে, বর্তমানে একটি সিভিল তদন্তের অংশ হিসেবে তারা এ আদেশ কার্যকর করেছে।

যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউজের নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জব্দকৃত দুটি সম্পত্তির মধ্যে একটি লন্ডনের অভিজাত ১৭ গ্রোভনার স্কয়ারের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। এটি ২০১০ সালে ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। অপর সম্পত্তি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসের একটি বাড়ি, যা ২০১১ সালে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার বিষয়ে চাপ বৃদ্ধির পর এনসিএ একসঙ্গে ৯টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ পায়। তবে এর মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন দুটি বিলাসবহুল সম্পত্তি।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সালমান এফ রহমানকে দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হতো। দেশের ভেতরে এবং বাইরে তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে আহমেদ শায়ান রহমানের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমাদের মক্কেল জোরালোভাবে যেকোনো অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের তদন্ত সংস্থাগুলোকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এখন প্রকাশ্য। সেখানে শত শত মানুষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ আনা হচ্ছে। আমরা আশা করি, যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।

অন্যদিকে, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে-এর নীতি পরিচালক ডানকান হেমস বলেন, যুক্তরাজ্যের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যেন তাদের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং সন্দেহভাজন সম্পদ জব্দে দেরি না করে, সেটাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, অবৈধ অর্থে কেনা সম্পত্তি বিশ্বের যেকোনো দেশেই জবাবদিহির আওতায় আসা উচিত। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন রক্ষায় যুক্তরাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

  • এটিআর
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর