• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আ.লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই গ্রেনেড হামলা

একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

প্রসিকিউশনের যুক্তি খণ্ডন শুরু

আ.লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই গ্রেনেড হামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে আইনি যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। সরকার (প্রসিকিউশন) পক্ষে পাল্টা যুক্তিতে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। হামলাকারীদের টার্গেট ছিল তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। গতকাল বুধবার রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে এ যুক্তি উপস্থাপন করেন সরকারপক্ষের কৌঁসুলি মোশারফ হোসেন কাজল। লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে এসএম শাহজাহান আইনি যুক্তি শেষ করেন। দুপুর ১২টা থেকে বিচারকাজ শরু হয়ে চলে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত।  আগামী ১০, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বাবরের আইনীজীবী এসএম শাহজাহান তার মক্কেলকে নির্দোষ দাবি করে খালাসের আরজি পেশ করেন যুক্তিতর্কে।  তার যুক্তি খণ্ডন করে মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, ‘এই মামলাটি ভিন্ন একটি মামলা। এই মামলার সঙ্গে অন্য কোনো মামলার নজির আসবে না। তিনি বলেন, এ মামলায় প্রথম অভিযোগপত্র দাখিলের পর আবারো তদন্ত হয়। ওই তদন্তে ঘটনার বিষয়ে ষড়যন্ত্র, ষড়যন্ত্রের স্থান ও জড়িতদের সম্পৃক্তার বিষয় বেরিয়ে আসে। আর্জেস গ্রেনেডের মতো যুদ্ধাস্ত্র তথা সমরাস্ত্র দিয়ে নিরস্ত্র মানুষের ওপর এ ধরনের হামলা বিশ্বের ইতেহাসে বিরল।

বাবরের পক্ষে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গত ২৯ আগস্ট যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম। এ নিয়ে ১১৪ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক চলেছে। তার মধ্যে ৯০ কার্যদিবসে আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করেছে। বাকি দিনগুলো রাষ্ট্রপক্ষ থেকে উপস্থাপন তুলে ধরা হয়।

শুনানিতে সরকারপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ও আকরাম উদ্দিন শ্যামল, ফারহানা রেজা ও আমিনুর রহমান।

একুশে আগস্টের ঘটনায় পৃথক মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন পলাতক। লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম সালাম পিন্টুসহ ২৩ আসামি কারাগারে ও ৮ জন জামিনে রয়েছেন।

সরকার পক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

গত ২৭ ডিসেম্বর সরকার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে এ মামলার আসামি তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টুসহ ৪৯ আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে সরকার পক্ষ। গত ২৩ অক্টোবর থেকে সরকার পক্ষে যুক্তি পেশ শুরু হয়।

বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ঘটে। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হন। গুরুতর আহত হন তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads