• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
খনি দুর্নীতি: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৫ অক্টোবর

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

খনি দুর্নীতি: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৫ অক্টোবর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৫ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ রোববার পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত ‍বিশেষ আদালতের বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান এ দিন নির্ধারণ করেন।

এই আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল আজ।কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। বিচারক সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন।

খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবাহ সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (ফাঁসিতে দণ্ডপ্রাপ্ত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (ফাঁসিতে দণ্ডপ্রাপ্ত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে ওই বছরের ৫ অক্টোবর পুলিশ তদন্ত করে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া।

২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

উল্লেখ, ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড.আখতারুজ্জামান। রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে রাখা হয়েছে বেগম জিয়াকে। বর্তমানে তিনি সেখানেই বন্দী রয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads