প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। থাই রাজকুমারী মহাচক্রী সিরিনধরন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও থাই রাজকুমারী মূলত কৃষি খাত নিয়েই আলোচনা করেন এবং এই খাতে দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে সহযোগিতার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। থাই রাজকুমারী বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি, বিশেষ করে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয় কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের কৃষি খাতের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের বিজ্ঞানীরা খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য লবণাক্ততা, বন্যা এবং খরাসহিষ্ণু প্রজাতির ধান উদ্ভাবন করেছেন।
তিনি থাই রাজকুমারীকে বলেন, বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং ছাগল, গরু এবং ভেড়া থেকে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে মাংস উৎপাদন করছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় আম চাষে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কারণ থাইল্যান্ড বছরজুড়ে আম উৎপাদনে বিখ্যাত।
থাই রাজকুমারী প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তার দেশ একটি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশকে ‘ভেটিভার গ্রাস’ দিচ্ছে। এই ঘাস আকারে লম্বা ও পুরু এবং মাটির ক্ষয়রোধ ও সুরক্ষায় কার্যকরী। বাংলাদেশের মৌসুমি ফল লিচু থাইল্যান্ডে খুব জনপ্রিয় এবং থাইল্যান্ড বাংলাদেশ থেকে লিচু আমদানি করছে বলে জানান রাজকুমারী।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনীম এবং ঢাকায় থাই রাষ্ট্রদূত প্যানপিমন সুয়ান্নাপোংসে এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাসস
