Logo

ক্যাম্পাস

১৪ মে-কে জবির ‘কালো দিবস’ ঘোষণা, বাদ জুমা গণঅনশন

Icon

জবি প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৫, ০৭:৪৬

১৪ মে-কে জবির ‘কালো দিবস’ ঘোষণা, বাদ জুমা গণঅনশন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় হামলার প্রতিবাদে ১৪ মে দিনটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস' ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে নতুন কর্মসূচি হিসেবে গণজমায়েত ও গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছে ‘জবি ঐক্য’ প্ল্যাটফর্ম।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে কাকরাইল মোড়ের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা জবির পরিবার আজ ঐক্যবদ্ধ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সারারাত চলবে অবস্থান কর্মসূচি। শুক্রবার সকাল ১০টায় বর্তমান ও প্রাক্তন জবিয়ানদের নিয়ে হবে সমাবেশ। জুমার নামাজের পর শুরু হবে গণঅনশন।

তথ্য উপদেষ্টার ওপর পানির বোতল নিক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, যে শিক্ষার্থী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় বিচারের মুখোমুখি করব। তবে তার আগে আমাদের শিক্ষকদের গায়ে যারা হাত তুলেছে, সেই পুলিশ সদস্যদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এর আগে বুধবার (১৪ মে) সকাল থেকেই কাকরাইল মোড়ে জমায়েত হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরে প্রায় তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পদযাত্রা শুরু করেন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে। পদযাত্রা গুলিস্তান মাজার গেইটে প্রথম বাধার মুখে পড়ে। পরে মৎস্য ভবনে দ্বিতীয় দফা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে তারা এগিয়ে যান। কিন্তু কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে পৌঁছামাত্রই পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি ছুড়ে। এতে অন্তত ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন।

আন্দোলনকারীরা জানান, গত মঙ্গলবার জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো আশ্বাস না পেয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর ‘জবি ঐক্য’ নামে শিক্ষার্থীদের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে লং মার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।

২. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কোনো কাটছাঁট না করে অনুমোদন করতে হবে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৪. শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

  • জান্নাতুন/এটিআর
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর